কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী না দেওয়ায় বুথে ভোটকর্মীদের ঢুকতে দিলনা গ্রামের বাসিন্দারা

নিজস্ব সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ,১৮ ই এপ্রিল :কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী না দেওয়ায় বুথে ভোটকর্মীদের ঢুকতে দিলনা গ্রামের বাসিন্দারা। পুলিশের সাথে গ্রামের বাসিন্দাদের প্রথমে বচসা পরে ধাক্কাধাক্কি। ধাওয়া দিয়ে পুলিশকে এলাকা ছাড়া করল উত্তেজিত জনতা এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা। ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত রায়গঞ্জ বিধানসভা ক্ষেত্রের ৩৫/১২৫ নম্বর বুথ ছত্রপুর গ্রামে, এবং ৩৫/১৮৫ নম্বর বুথে আবদুলঘাটা জি এস এফ পি স্কুলে। ঘটনাস্থলে রায়গঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পৌঁছালেও গ্রামের ভোটাররা ভোটকর্মীদের বুথে প্রবেশ করতে দেয়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে এলাকায় নামানো হয় আধা সামরিক বাহিনী। এলাকার ভোটারদের দাবি এই বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না দিলে ভোট নিতে দেওয়া হবেনা। এই ঘটনার জেরে ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসার জ্যোতিন্দ্রনাথ মন্ডল অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আজ বিকেলেই রায়গঞ্জ পলিটেকনিক কলেজ ডিসিআরসি থেকে ভোটগ্রহনের উদ্দেশ্যে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশসহ ভোটকর্মীরা রায়গঞ্জ থানার অন্তর্গত ১৩ নং কমলাবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের আবদুলঘাটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৫/১৮৫ নম্বর বুথে পৌঁছালে এলাকার বাসিন্দারা তাদের আটকে দেন। স্থানীয় বাসিন্দা তথা এলাকার ভোটারদের অভিযোগ, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই বুথে ব্যাপক গন্ডগোল ও বুথ জ্যামের ঘটনা ঘটে। এলাকার ভোটারদের ভোট দিতেই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। তাই তাদের দাবি রাজ্য পুলিশ দিয়ে এখানে ভোট করানো যাবেনা। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবিতে তারা ভোটকর্মীদের বুথে প্রবেশ করতে আটকে দিয়েছে। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছালেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা যায়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ রিজার্ভে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী। রায়গঞ্জ সেক্টর ম্যাজিস্ট্রেট চম্পক বিশ্বাস জানিয়েছেন, বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে এলাকার বাসিন্দারা ভোটকর্মীদের বুথে প্রবেশ করতে দেয়নি। বিষয়টি আমি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এরপর একই ঘটনা ঘটে রায়গঞ্জ ব্লকের ছত্রপুর গ্রামের ৩৫/১২৫ নম্বর বুথেও ভোটকর্মীদের বুথে প্রবেশ দেয়নি এলাকার ভোটাররা। সেখানে পুলিশের একটি ভ্যান পৌঁছালে উত্তেজিত বাসিন্দারা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি ধাক্কাধাক্কি করে। ব্যাধ্য হয়ে পুলিশ সেখান থেকে একপ্রকার পালিয়ে আসে। পরে রায়গঞ্জ থানার আইসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী আসে ঘটনাস্থলে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওইসব বুথে ভোটকর্মীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হলেও বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না দেওয়া হলে আগামীকাল তারা ভোট বয়কট করার হুমকি দেওয়া হয়েছে।