পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধক্ষের অদ্ভুত আবদার করে জেলা প্রশাসনের কাছে

নিজস্ব সংবাদদাতা,মালদা,১০ ই জানুয়ারি :পুরাতন মালদা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের লক্ষ্মী সরকার। এক অদ্ভুত আবদার করে জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠি দিয়েছেন। এতে তিনি লিখেছেন, তিনি ব্যবসা করেন সেই কারণে পঞ্চায়েত সমিতির কাজ কর্মতে সময় দিতে পারবেন না। তার জায়গায় যাতে তার দপ্তরে সমস্ত কাজকর্ম আইনিভাবে দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয় তার স্বামী তথা এলাকার তৃণমূল যুব নেতা সুদর্শন হালদারকে। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের এই চিঠি নিয়ে শুরু হয়েছে জেলাজুড়ে বিতর্ক। এ ধরনের আবদারের আইনি কোনো বৈধতা আছে কিনা তা নিয়ে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে।
বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ এইভাবে পঞ্চায়েত সমিতির কাজকর্ম করা যায় না। ওই কর্মধক্ষ যা করেছে তা সম্পূর্ণ বেআইনি। বিরোধী নেতা বিজেপির নিতাই মন্ডল বলেন, ওই কর্মাধক্ষের স্বামী সুদর্শন হালদার দিনের পর দিন পঞ্চায়েত সমিতিতে বসে সরকারি কাজে হস্তক্ষেপ করে যাচ্ছেন।এরপর লক্ষ্মী সরকারের যদি ব্যবসার করারই থাকতো তালে ব্যবসায়ী করতেন ভোটে দাঁড়ালেন কেন?

পুরাতন মালদা ব্লকের বিডিও নরোত্তম বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন ওই কর্মাধ্যক্ষের দেওয়া চিঠি তিনি হাতে পেয়েছেন এবং তা মহকুমা শাসকের কাছে পাঠিয়েছেন। তবে এ ধরনের আবদার মঞ্জুর করা যাবে কিনা তা নিয়ে তিনি ও প্রশ্ন তুলেছেন।
পুরাতন মালদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মৃণালিনী মাইতি মন্ডল বলেন,পঞ্চায়েত সমিতির কাজ কর্মে কর্মদক্ষ কি উপস্থিত থাকতে হবে বাইরের কেউ তাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
তিনি এ ধরনের চিঠি কেন লিখলেন এ নিয়ে ওই কর্মদক্ষকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, যা বলার তার স্বামী বলবে।এরপর সটান বাড়ির দরজা লাগিয়ে ঘরের ভেতর ঢুকে যান।

লক্ষী সরকারের স্বামী পুরাতন মালদা ব্লক যুব তৃনমূলের সভাপতি সুদর্শন হালদার বলেন জনগণের স্বার্থেই জনগণের কাজ করার জন্যই এ ধরনের চিঠি করা হয়েছে।
পুরাতন মালদা পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট 18 টি আসন রয়েছে। 8 আসন জিতেছিল তৃণমূল ও 8 টি আসন জিতেছিল বিজেপি। একটি আসন পায় কংগ্রেস ও একটি নির্দল। নির্দল ও কংগ্রেসের সাহায্যে পঞ্চায়েত সমিতি গঠন করে তৃণমূল। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ এর এই চিঠি নিয়ে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম কতটা সুস্থ ভাবে হয় সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন চিহ্ন রূপে দেখা গিয়েছে