চলন্ত ট্রেনে চালক ঘুমিয়ে পড়লে কি কি ঘটতে পারে ? কার্যসূত্রে কিংবা অন্যত্র যেতে আপনাকেও হয়তো প্রায়ই যাতায়াত করতে হয় ট্রেনে, কিন্তু একবার ভাবুন তো চলন্ত ট্রেনে চালক ঘুমিয়ে পড়লে কি অবস্থা হতে পারে ?
আমেরিকা, চীন এবং রাশিয়ার পরেই রয়েছে ভারত টেকনোলজির দিক থেকে । রেলওয়ে টেকনোলজির প্রতিবেদন অনুযায়ি ভারত বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক । প্রায় ৬৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারতের রেল নেটওয়ার্ক হওয়ায় এখানেই দুর্ঘটনা প্রায় লেগেই থাকে ।
রেল দুর্ঘটনা যে কেবল চালকের অসতর্কতা বশত হয় তাই নয়, কখনও প্রযুক্তির কারনে, আবার অনেক সময় মানুষের ত্রুটির কারনেও হয়ে থাকে ।
আর ও পড়ুন বিজেপি–র রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরানো হল দিলীপ ঘোষকে, কে হলেন নতুন সভাপতি ?
খুব স্বাভাবিক ভাবেই এটাই এখন আপনার মাথায় আসছে যে চালক ঘুমিয়ে পড়লে নিশ্চই ট্রেনটি বড়ো সড়ো দুর্ঘটনার সম্মুখিন হবে, কিন্তু একদমই তা নয় । কারন প্রতি ট্রেনেই দুজন করে লোকো পাইলট থাকেন সেটা আমরা সবাই জানি । তাই একজন ঘুমিয়ে পড়লে আর একজন ঠিকই তা সামলে নেবেন । এবার প্রশ্ন উঠেই আসে যে, যদি দুজন চালকই ঘুমিয়ে পড়েন সেক্ষেত্রে কি হবে ? যদিও এই ধরনের পরিস্থিতি কখনও ঘটে তবে এমন পরিস্থিতি এড়াতে প্রতিটি রেলের ইঞ্জিনে একটি শক্তিশালী টেকনোলজি ইনস্টল করা থাকে, যা ট্রেন কে দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচায় ।
জেনে রাখুন, ইঞ্জিন তখনই চলে যখন লোকো পাইলট তার কার্যকলাপ জারি রাখে, যেমন- ব্রেক ধরা, গতি বাড়ানো কমানো, হর্ন দেওয়া । এগুলি যখন বার্তা হিসেবে ইঞ্জিনের কাছে যায় তখনই ইঞ্জিন বোঝে যে চালক সক্রিয় আছেন । এমন অবস্থায় যখনই পরিস্থিতি আসে তখন লোকো পাইলটকে মাঝে মাঝে ‘ডেড ম্যানেস’ নামে একটা বিশেষ সুইচ টিপতে হয় । এই ডিভাইসটি এমন একটা ডিভাইস যা সংকেত দেয় ইঞ্জিনকে যে চালক সক্রিয় আছেন । এখন যদি এমন হয় যে চালক বিগত ২-৩ মিনিটের মধ্যেও এই ডিভাইসটি না প্রেস করেন তবে ইঞ্জিনটি নিজে থেকে চলন্ত ট্রেনের গতি কমিয়ে দিয়ে কিছু পথ গিয়েই তা নিজে থেকে থেমে যাবে । দুর্ঘটনার হাত থেকে এভাবেই টেকনোলজী আমাদেরকে বাঁচায়।