বিজেপি–র রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরানো হল দিলীপ ঘোষকে। তাঁর পরিবর্তে এই দায়িত্ব সামলাবেন এখন ডা. সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত মজুমদার এখন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ। আর খড়্গপুরের সাংসসদ দিলীপ ঘোষকে বিজেপি–র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি (রাষ্ট্রীয় উপাধ্যক্ষ) পদে নিয়োগ করল দল। সোমবার এই ঘোষণা করলেন বিজেপি–র সভাপতি জে পি নাড্ডা।
রাজনৈতিক মহলে এই ঘটনার পরেই জল্পনা চড়েছে, পর পর দলত্যাগ। চার বিধায়ক এবং এক সাংসদ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তার জেরেই কি দিলীপ ঘোষের উপর পড়ল খাঁড়া!
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি পদে থাকার কথা ছিল দিলীপ ঘোষের। ততদিনই ছিল মেয়াদ। তার পর ওই পদে কে বসবেন, সেই নিয়ে এখন থেকেই ভেসে আসছিল নাম। কিন্তু আচমকাই সোমবার তাঁকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
আর ও পড়ুন পরীমনি আর পিছনে ফিরে তাকাতে চান না, সামনে এগিয়ে যাওয়াই তাঁর লক্ষ্য
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি–র সোচনীয় হার এবং তার পর একের পর এক নেতাদের তৃণমূলে যোগদানই নাকি এই কারণ। দিলীপ দাবি করেছিলেন ২০০টি আসন পাবে বিজেপি। সেখানে পেয়েছে মাত্র ৭৭। ভোটে হারের জন্য দলেরই একাংশ দিলীপের দিকে আঙুল তুলেছেন। বলেছেন, তাঁর রূঢ় মন্তব্য বিজেপি–র কফিনে পেরেক পুঁততে সাহায্য করেছিল। তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ভুলপথে চালিত করেছেন বলেও অনেক রাজ্য বিজেপি নেতা অভিযোগ করেছেন।
মহিলাদের বিরুদ্ধে তাঁর অবমাননাকর কথাবার্তার কারণে বিজেপি মহিলা ভোট হারিয়েছে বলেও অনেকে মনে করছিলেন। কিন্তু হারেই শেষ হয়নি ভাঙন। এর পর মুকুল রায়, বাবুল সুপ্রিয়র মতো হেভিওয়েট নেতারা বিজেপি ছেড়ে দেন। সেজন্যও রাজ্য সভাপতি দিলীপের দিকে আঙুল ওঠে। মনে করা হচ্ছে, সে কারণেই নাকি সরানো হল একদা এই সঙ্ঘকর্মীকে। তবে এ রকম যে হতে চলেছে, সেই আঁচ দলের অন্দরেও কেউ খুব একটা করতে পারেননি।