ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছিলো কেন? কারণ জানুন । গতকাল রাতে ফেসবুক , হোয়াটসঅ্যাপ , ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা প্রায় সাত ঘন্টা বিপর্যস্ত হয়ে থাকে। ফেসবুকের সবথেকে বড় সমস্যা ছিল সোমবারের এই বিপত্তি। মঙ্গলবার ভোরে পরিষেবা স্বাভাবিকে হলেও, এই বিভ্রাটের পিছনে বেশ কিছু কারণ উঠে আসছে।
জানা গিয়েছে, কোম্পানির ডোমেন নেম সিস্টেমে সমস্যার জন্যই ফেসবুকের এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ফেসবুকের তরফে জানানো হয়েছে, এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, এর রাউটারের কনফিগারেশন পরিবর্তন হয়ে যাওয়ার কারণে। তবে এর জন্য ব্যবহারকারীদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে অন্তর্নিহিত কারণের জেরে বেশ কিছু অভ্যন্তরীণ যন্ত্র এবং পদ্ধতিতে প্রভাব পড়েছে। ফলে চিহ্নিত করতে বেশি সময় লেগে গিয়েছে। সমাধান করতেই সময় গেলেছে।
ওয়েবসাইট সিকিওরিটি কোম্পানি ক্লাউডফেয়ারের তরফে কারণ জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, ইন্টারনেট থেকে ফেসবুক বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিল বর্ডার গেটওয়ে প্রোটোকলের কারণে। নিয়মিত বিজিপি আপডেটের সময়েই সমস্যার শুরু। যা পরে ডিএনএস তথ্যও মুছে দেয়। যা অন্য নেটওয়ার্কের সঙ্গে ফেসবুকের সংযোগের জন্য খুবই দরকারী।
ডিএনএস ও বিজিপির পরিচিতি ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী ডিএনএস অনেকটাই ইন্টারনেটের ফোনবুকের মতো। যা ফেসবুক নামক ওয়েব ডোমেনকে ইন্টারনেট প্রোটোকল অর্থাৎ আইপিতে পরিবর্তন করে। সোমবার ফেসবুকের ডিএনএস রেকর্ডে প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেয়। যার জেরে পুরো ফেসবুকই একটা সময় অচল হয়ে পড়ে।
ব্লুমবার্গে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ফেসবুকের সমস্যা প্রথম দেখা দেয় গর্ডার গেটওয়ে প্রটোকল অর্থাৎ বিজিপিতে। এক্ষেত্রে যদি ডিএনএস ইন্টারনেট ফোনবুক হয়, তাহলে বিজিপি হল পোস্টার সার্ভিস। যখন কোনও ব্যবহারকারী ইন্টারনেটে তথ্য দেয়, তখন এই বিজিপিই সবথেকে ভাল রাস্তা তাকে দেখিয়ে দেয়।
আর ও পড়ুন টাকির ইছামতী নদীতে বিসর্জনে এবার রাশ টানলো প্রশাসন
ফেসবুকের বিভিন্ন পরিষেবা, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম সবারই ব্যাকআপ রয়েছে এবং তা চালু রয়েছে। ফেসবুকের তরফেও জানানো হয়েছে, তাদের সবকটি সিস্টেমই চলছে। কোম্পানির হোয়াটসঅ্যাপের টুইটারে বলা হয়েছে সোমবারের বিভ্রাটের পরে মঙ্গলবার ১০০ শতাংশ কাজ করছে সবকটি বিভাগই। প্রসঙ্গত এদিন সকালেই সাত ঘন্টার বিভ্রাটের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের তরফ থেকে।