বিরোধী দের সাথে নয়,লড়াই হবে পুলিশ প্রশাসনের সাথে,প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়কের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল নয়,পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই হবে।জেলা পুলিশ সুপার, জেলাশাসক, মহকুমাশাসক ঘেরাও হবে। কাউকে ছেড়ে কথা বলা যাবেনা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গোটা মালদা জেলা নিস্তব্ধ করার হুঙ্কার ছুড়লেন কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক মানিকচকের মোত্তাকিন আলম।আজ মালদহের মালতীপুর বিধানসভার জালালপুরে প্রকাশ্য সমাবেশ থেকে এভাবেই হুশিয়ারি ছুড়লেন মানিকচক ও সুজাপুরের প্রাক্তন বিধায়ক ঈশা খান চৌধুরী।
এই হুশিয়ারিতে রাজনৈতিক পারদ ক্রমশ উর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে মালতীপুরে।যদিও পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। বছর ঘুরলেই রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন।পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে শাসক থেকে বিরোধী সকলে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে সভা ও পাল্টা সভা।আজ জালালপুরে কংগ্রেসের প্রকাশ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন মানিকচক ও সুজাপুরের কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক মোত্তাকিন আলম ও ঈশা খান চৌধুরী।
এছাড়াও ছিলেন চাঁচল-২ ব্লক কংগ্রেস কমিটির সভাপতি মাঞ্জারুল ইসলাম সহ দলীয় নেতা কর্মীরা। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিশানা করেন দলীয় প্রাক্তন বিধায়করা। মানিকচক বিধানসভার কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক মোত্তাকিন আলম বলেন,তৃণমূলের ছাঁট অংশদের সাথে আমাদের লড়াই নেই।লড়াই হবে,পুলিশ ও প্রশাসনের সাথে। গত ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট লুটের স্মৃতি যদি ফিরিয়ে আনতে চান।
আরও পড়ুন – প্রতিবন্ধী কন্যা দায়গ্রস্ত পিতাকে উদ্ধার করলও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা
তাহলে জেলার পুলিশ সুপার,জেলাশাসক,বিডিও ও এসডিও কাউকে রেয়াত করব না।সবাইকে ঘেরাও করব।পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গোটা মালদা জেলা নিস্তব্ধ করে দিব। যদিও কংগ্রেসের এই হুঙ্কার গুরুত্ব দিতে চাননি শাসক দল তৃণমূল। কংগ্রেসের মাথা খারাপ হয়েছে।তাই রাস্তায় রাস্তায় ভুল বকে বেড়াচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে।
এতে পুলিশ প্রশাসনের কোনো কিছু করার নেই।কংগ্রেস এত সভা করছে পুলিশি নিরাপত্তায়।তাদের এই বক্তব্য কাম্য নই বলে দাবি করেছেন সভাধিপতি রফিকুল হোসেন। সম্প্রতি কিছু দিন আগে মালতীপুরের শ্রীপুরে শাসকদলের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বক্তব্যে বলেছিলেন বিরোধীদের সাথে নয়। নির্বাচনে লড়াই হবে তৃণমূলের সাথে তৃণমূলের। মন্ত্রীর সেই বক্তব্যের পরেই এবার বিরোধীদের গলায় শোনা গেল লড়াইয়ের সূর। তবে সেই লড়াই পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে। তবে কার সাথে কার লড়াই হবে। সেই দেখার অপেক্ষায় গোটা জেলাবাসী।