মহালয়ার দিন কেন তর্পণ করতে হয়? প্রাচীনকাল থেকেই মহালয়ার দিন প্রয়াত পূর্বপুরুষের আত্মা পৃথিবীর খুব কাছে বিরাজ করে বলে বিশ্বাস। তাই এসময় যদি তর্পণ করা হয় তবে উদ্দেশ্য সফল হয় বলে সবাই মনে করেন। “তর্পণ” শব্দটি এসেছে “তৃপ” থেকে। “তৃপ” কথার মানে “সন্তুষ্ট করা”। ঈশ্বর, ঋষি ও পুর্বপুরুষের আত্মার উদ্দেশে জল নিবেদন করে তাঁদের সন্তুষ্ট করাকে তর্পণ বলা হয়। শাস্ত্র মতে যে কাজের মাধ্যমে অপরের তৃপ্তি হয়, তা হল তর্পণ। পুরাণ বলছে, জীবিত ব্যক্তির পূর্বের তিন পুরুষ পর্যন্ত পিতৃলোকে বাস করেন।
এই লোক স্বর্গ ও মর্ত্যের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত। পিতৃলোকের শাসক মৃত্যুদেবতা যম। তিনিই সদ্যমৃত ব্যক্তির আত্মাকে মর্ত্য থেকে পিতৃলোকে নিয়ে যান। পরবর্তী প্রজন্মের একজনের মৃত্যু হলে পূর্ববর্তী প্রজন্মের একজন পিতৃলোক ছেড়ে স্বর্গে গমন করেন। এই পদ্ধতিতে তিনি শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের ঊর্ধ্বে উঠে যান। পুণ্যতোয়া নদীতে( না পারলে পুকুরে) নাভি পর্যন্ত জলে দাঁড়িয়ে তর্পনকারী প্রথমে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বরের উদ্দেশে তর্পন করেন। তারপর দেবতা, যক্ষ, নাগ, বিদ্যাধরদের তৃপ্তিলাভের জন্য জলদান করা হয়। তারপর আদি মানবের পালা।
এঁদের মধ্যে সনক, সনন্দ, সনাতন, কপিল ইত্যাদি রয়েছেন। এরপর হয় ঋষিতর্পণ। ব্রহ্মার মানসপুত্রদের তৃপ্তিলাভের জন্য। মরীচি, অত্রি, অঙ্গিরা, পুলস্ত, পুলহ, ক্রতু, প্রচেত, বশিষ্ঠ, ভৃগু ও নারদকে তর্পণের মাধ্যমে জলদান করা হয়। এরপর পিতৃকুল ও মাতৃকুলকে জলদান করা হয়। নিজ পিতার স্তুতি দিয়ে শেষ হয় মহালয়ার তর্পণ।
আরও পড়ুন – ভাষা সমস্যায় পথহারা তেলেঙ্গানার এক অসহায় ব্যক্তিকে ঘরে ফিরিয়ে নজীর
উল্লেখ্য, মহালয়ার দিন তর্পণ করতে হয় কেন? প্রাচীনকাল থেকেই মহালয়ার দিন প্রয়াত পূর্বপুরুষের আত্মা পৃথিবীর খুব কাছে বিরাজ করে বলে বিশ্বাস। তাই এসময় যদি তর্পণ করা হয় তবে উদ্দেশ্য সফল হয় বলে সবাই মনে করেন। “তর্পণ” শব্দটি এসেছে “তৃপ” থেকে। “তৃপ” কথার মানে “সন্তুষ্ট করা”। ঈশ্বর, ঋষি ও পুর্বপুরুষের আত্মার উদ্দেশে জল নিবেদন করে তাঁদের সন্তুষ্ট করাকে তর্পণ বলা হয়। শাস্ত্র মতে যে কাজের মাধ্যমে অপরের তৃপ্তি হয়, তা হল তর্পণ। পুরাণ বলছে, জীবিত ব্যক্তির পূর্বের তিন পুরুষ পর্যন্ত পিতৃলোকে বাস করেন।