এবার ইউক্রেনের শেষ মুক্ত শহরেও রুশ বাহিনীর প্রবেশ। রাশিয়ার বাহিনী ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় একটি প্রদেশের শেষ মুক্ত শহরটির দখল করে নিচ্ছে। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলছেন, রুশ বাহিনীর ঘেরাও থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাদের বাহিনীকে হয়তো সেখান থেকে সরে যেতে হতে পারে। শনিবার বিবিসি এ খবর জানায়। লুহানস্কের গভর্নর সেরহি হাইদাই বলেন, রুশ সেনারা সেখানকার শহর সেভারোদনেতস্কের একাংশে ঢুকে পড়েছে।
রুশ বাহিনীর প্রায় ১০ হাজার সেনা এখন লুহানস্কে লড়াই করছে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনবাস এলাকার পুরোটা দখল করা এখন রাশিয়ার অন্যতম সামরিক লক্ষ্য। হাইদাই বলেন, রুশ হামলায় সেভারোদনেতস্ক শহরের অর্ধেকেরও বেশি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বাদবাকি ঘরবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহরের বাসিন্দারা বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই করে নিয়েছেন। পাশের একটি শহর লিসিচ্যানস্কও রুশ বাহিনী ঘিরে ফেলেছে। বিবিসির ইউরোপ বিষয়ক সম্পাদক পল কারবি লিখছেন, ইউক্রেনের শিল্প-প্রধান দোনবাস অঞ্চলে এ দুটি শহর খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন – লাল চা, ‘গ্রিন টি’-র পর এবার বাঙালির কাপে পড়তে চলেছে নীল চা
শহর দুটির নিয়ন্ত্রণ হারানো ইউক্রেনের জন্য একটি বড় আঘাত বলে বিবেচিত হবে। তিনি জানান, শুক্রবার রুশ বাহিনী সেভারোদনেতস্কের পশ্চিমে লিমান নামে আরও একটি শহর দখল করে নিয়েছে। শহরটি দখলের সময় দুই পক্ষের মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই হয়েছে, যদিও ইউক্রেনীয় বাহিনী এক সপ্তাহ আগে থেকেই শহর থেকে হঠে যেতে শুরু করে। লিমান দখল করে রুশ সেনারা এখন আরও পশ্চিমের দুটি শহর স্লোভিয়ানস্ক এবং ক্রামাটোরস্কের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে
উল্লেখ্য, এবার ইউক্রেনের শেষ মুক্ত শহরেও রুশ বাহিনীর প্রবেশ। রাশিয়ার বাহিনী ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় একটি প্রদেশের শেষ মুক্ত শহরটির দখল করে নিচ্ছে। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলছেন, রুশ বাহিনীর ঘেরাও থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাদের বাহিনীকে হয়তো সেখান থেকে সরে যেতে হতে পারে। শনিবার বিবিসি এ খবর জানায়। লুহানস্কের গভর্নর সেরহি হাইদাই বলেন, রুশ সেনারা সেখানকার শহর সেভারোদনেতস্কের একাংশে ঢুকে পড়েছে।