দেশ – সপ্তাহ শুরুর সকালেই রক্তাক্ত শেয়ারবাজার। সোমবার (৭ এপ্রিল) বাজার খুলতেই তিন হাজারের বেশি কমল সেনসেক্স। ৭৫ হাজারের ঘর থেকে এক ধাক্কায় নেমে গেল ৭২ হাজারের ঘরে। নিফটির অবস্থাও তথৈবচ। ৯৯৫ সূচক খুঁইয়ে নেমে গিয়েছে ২১ হাজারের ঘরে। সকালেই লগ্নিকারিদের পকেট থেকে উধাও হয়েছ ১৯ লক্ষ কোটি টাকা।সর্বসান্ত হয়ে পথে বসেছেন বহু বিনিয়োগকারী। ইদানিংকালে বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গে সেনসেক্স কখনও ৩ইন হাজারের বেশি পয়েন্ট খুঁইয়েছে কিনা তা মনে করতে পারছে না বাজার বিশেষজ্ঞ। সূত্রের খবর, পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে পুঁজি বাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি। তেমন হলে বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখা হবে লেনদেন।
গত ২ এপ্রিল ভারতে-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উপরে কর বোমা নিক্ষেপ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতে তৈরি পণ্যের উপরে ২৭ শতাংশ কর আরোপ করেছিলেন। ট্রাম্পের ওই কর বোমায় কার্যত ধস নেমেছে ন্যাসডাক-সহ বিশ্বের শেয়ারবাজারগুলিতে। কোনও ক্রমে আঘাত সামাল দিয়েছিল দালাল স্ট্রিট। কিন্তু যে কোনও মুহুর্তে শেয়ারবাজার ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। তাদের সেই আশঙ্কাই সত্যি হল।
শুক্রবারই বড় সড় পতনের সাক্ষী থেকেছিল দালাল স্ট্রিট। ৭৫ হাজার ৩৬৪ দশমিক ৬৯ সূচক নিয়ে বন্ধ হয়েছিল সেনসেক্স। আর নিফটি বন্ধ হয়েছিল ২২ হাজার ৯০৪ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে। এদিন সকালে ৩ হাজার ৯০০ পয়েন্টেরও বেশি সূচক খুঁইয়ে লাল জোনে থেকে লেনদেন শুরু হয়। শুরুতেই তিন হাজারের বেশি সূচক খোয়ানোয় আতঙ্ক ছড়ায় দালাল স্ট্রিটে। এক পর্যায়ে ৭১ হাজার ৪২৫ দশমিক ০১ সূচকে নেমে যায় সেনসেক্স। মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েন লগ্নিকারিরা।
বিএসই’র লার্জক্যাপ ইনডেক্সে থাকা দেশের বড় সংস্থাগুলির শেয়ার দর এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে যায়। রিলায়েন্স থেকে টাটা স্টিল-সব সংস্থা মুখ থুবড়ে পড়ে। টাটা স্টিলের শেয়ার দর ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ কমেছে। টাটা মোটরসের শেয়ারমূল্য কমেছে ৮.২৯ শতাংশ। ইনফোসিস (৭.০১ শতাংশ), টেক মাহিন্দ্রা (৬.৮৫ শতাংশ) আদানি পোর্টসের (৫.৫৪ শতাংশ) শেয়ারদরও হ্রাস পেয়েছে।
