দেশ- প্রেম, পরিণতিতে বিয়ে, অবৈধ সম্পর্ক, অশান্তি এবং খুন। মিরাটের ঘটনা নিয়ে যখন তোলপাড়, তখন অভিযুক্ত মুসকানের বাবা-মা সাফ জানালেন, সমস্ত দোষ তাঁদের মেয়েরই। মেয়ের মৃত্যুদণ্ড চান তাঁরা। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর তেমনটাই। প্রেমের সম্পর্কের পরিণতিতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন সৌরভ রাজপুত ও মুসকান রাস্তোগি।
সৌরভ মার্চেন্ট নেভি ছিলেন পেশায়। সেই চাকরি ছেড়ে বাড়িতে ফেরেন। মাঝে পারিবারিক অশান্তি, সৌরভের বাবা-মায়ের থেকে পৃথক থাকার ঘটনাও ঘটে। এসবের মাঝেই জন্ম নেয় সৌরভ-মুসকানের মেয়ে। এতদূর পর্যন্ত সব ঠিক থাকলেও দু’ জনের সম্পর্কে ফাটল ধরে সৌরভের বন্ধু সাহিলের সঙ্গে মুসকান সম্পর্কে জড়ানোর পর। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, পারিবারিক অশান্তি তীব্র হওয়ার পর, ফের জাহাজের কাজে ফিরে যান সৌরভ। সম্প্রতি মেয়ের জন্মদিনের জন্য ফিরে এসেছিলেন দিনকয়েকের ছুটিতে। ওই ছুটির মাঝেই স্ত্রী এবং বন্ধু মেলে পরিকল্পনা করে খুন করেন সৌরভকে। ১৫ টুকরো করে, ড্রামের মধ্যে ভরে সিমেন্ট দিয়ে আটকে দেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে মুসকানের বাবা-মা সাফ জানাচ্ছেন সমস্ত দোষ তাঁদের মেয়ের। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থায় মুসকানের বাবা প্রমোদ কুমার রাস্তোগী এবং কবিতা রাস্তোগী জানিয়েছেন, সৌরভ তাঁদের মেয়েকে খুব ভালবাসতেন, তিনি শুধু বাড়ির জামাই ছিলেন না, ছিলেন ছেলের মতো।
এখানেই শেষ নয়, মেয়ের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ রয়েছে বাবা-মায়ের। অভিযোগ, সৌরভকে বিয়ে করে, তাঁকে তাঁর বাবা-মায়ের থেকে আলাদা করেছিলেন মুসকানই, হাতিয়েছিলেন তাঁদের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। সাহিলের সঙ্গে ফিরে এসে, মুসকান নিজেই বাবা-মায়ের কাছে সৌরভকে খুনের কথা স্বীকার করেন বলে জানা গিয়েছে। তারপরেই তাঁর বাবা-মা থানায় নিয়ে যান। মুসকানের বাবা-মা জানিয়েছেন এই ঘটনায় তাঁরা সর্বতভাবে সৌরভের বাবা-মা, পরিবারের পাশে রয়েছেন। মেয়ের মৃত্যুদণ্ড চাইছেন তাঁরা।
