বেহালা ঠাকুরপুকুর এলাকায় রাস্তা মেরামতির কাজ নিয়ে খুশি নন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শনিবার রিভিউ মিটিং – এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) এ কথা জানান। তিনি বলেন,মূলত কাজগুলো খুব দেরি করে হচ্ছে। বিশেষকরে বেহালার দিকে ওয়ার্ড গুলিতে কাজ হচ্ছে তো হচ্ছে। যে সংস্থা গুলি কাজ নিয়েছে।
তাদের কাজ করার ক্ষমতায় নেই। আমরা যখনই বৈঠক করছি 112,113,114,123, 124, রাস্তাগুলি খুব খারাপ অবস্থাতে আছে। আজকে আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। KEIP থেকে টাকা KMC নেবে আর রাস্তা করে দেবে।
তাই অবিলম্বে বলা হয়েছে কাল পরশু মধ্যে বা এক সপ্তাহে মধ্য ব্লাক পেপার ব্লক করে আবার হাউসে কানেকশন করে আবার জুড়ে দিতে হবে। রাস্তার বিভাগ প্রায় ৩১ টা রাস্তা রয়েছে যার কাজ KMC করবে। অনেক জায়গায় জল ভাসছে না যেমন তেমনি আলিপুর বডিগার্ড লাইনে জল জমছে না। কিন্তু আবার ঠাকুরপুকুর(Thakurpukur) বাজারের রাস্তা খুব খারাপ অবস্থায় রয়েছে। আর যা কাজ হবে পাম্প হাউসের কাজ হলেও KEIP ততদিন সম্পূর্ন টাকা দেবে না, যতক্ষণ কাজ সম্পূর্ন ভাবে না হয়। KMC সন্তোষজনক সার্টিফিকেট দেবে তার পরেই KEIP টাকা দেবে বলে জানালেন মেয়র।আমাদের একটা ব্লাক মেলিং হচ্ছে কারণ keip নিয়ম অনুযায়ী আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। আমি এখন বলেছি যে ছোট প্রজেক্ট না নিলে আমরা লোন নেব না বলে পরিষ্কার ভাবে জানান মেয়র। ব্লাক লিস্ট কেনো করা হচ্ছে কারণ এরা কাজ ছেড়ে চলে যাবে। তখন সমস্ত ভার KMC উপরে চলে আসবে। প্রায় 2300 কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে সমস্ত সংযুক্ত ওয়ার্ডগুলি। KEIP এখন KURIP করার প্রক্রিয়া চলছে।
ইন্ডিয়া জোট প্রসঙ্গে মেয়র(Mayor) বলেন,একটা অধভূত ভয় ইন্ডিয়া নামের উপরে রয়েছে। গাববার সিংহ বলেছিল যো ডর গায়া শো মার গয়া। আমাদের জোটের নাম ইন্ডিয়া(INDIA)। যদি কেউ নাম মোদী করে দেয় বা হাকিম করে দেয়। তাহলে কি আমি পরিবর্তন করে দেব। নীরব মোদীর নাম আছে বলে নরেন্দ্র মোদী করে দেব। এটা হাস্যকর বিষয় হয়ে যাচ্ছে। তোমার নাম হিন্দুস্তান দিয়ে দাও। এটা বুঝা যাচ্ছে যে তিনি দেশের সম্মান নষ্ট করছে। এটা হাস্যকর হচ্ছে।এজেন্সি দিয়ে হচ্ছে। হাই কোর্ট বুঝবে।আমি বেতনের নি না।বেচারিরা বুঝেছিল জিতব। এখন বেদনায় এইসব করছে সিপিএম এবং কংগ্রেস। রানীগঞ্জ নিয়ে প্রতিক্রিয়া মেয়র ফিরহাদ হাকিমের।রাজ্যপাল প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, এত রাজ্য জাগলে শরীর না খারাপ হয়ে যায়। রাজ্যপালকে কটাক্ষ করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।