অভিযোগের বয়ান বদলের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে

অভিযোগকারীর অভিযোগের বয়ান বদলের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। তাই অভিযুক্তর  শাস্তির দাবী নিয়ে আদালতে দারস্থ অভিযোগকারীর পরিবার। আর এমন ঘটনায় শোরগোল পড়েছে জেলা জুড়ে। মালদা জেলার পুকুরিরা থানার পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন পুলিশ সুপার।

 

   পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়  মে মাসের 5 তারিখে মালদার পুকুরিয়ার কুমারগঞ্জ এলাকায় রাজনৈতিক সংর্ঘসের জেরে খুন হন তৃণমূল কংগ্রেসের  কর্মী নয়ন মন্ডল।মৃতের মা তাপসী মন্ডল ও তার ভাই জ্যোতি মন্ডলের  অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মহব্বত আলীর নেতৃত্বে  খুন করা হয নয়নকে। কিন্তু পুলিশ আধিকারিকরা তাঁদের কাছ থেকে অভিযোগপত্রে বয়ান না লিখিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেন।  এরপর নিজেদের মতন করে কয়েকজনের নাম ঢুকিয়ে অভিযোগপত্র তৈরি করে পুলিশ এমনই অভিযোগ। এই অভিযোগ পত্রে খুনের ঘটনার সাথে যুক্ত মুল  অভিযুক্ত মহব্বত আলীর পরিবর্তে  অভিযোগ পত্রে কংগ্রেস ও সিপিএম জোটের কয়েকজন কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়। এমন কান্ডে হতবাক হয়ে যান নয়ন মন্ডলের পরিবার।খুনের  ঘটনার  সাথে যুক্ত মুল অভিযুক্ত মহব্বত আলী ও তার দলবলকে গ্রেফতার না করে পুকুরিয়া থানার পুলিশ উল্টে এলাকারই কিছু নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে  মিথ্যে মামলা করে ফাঁসিয়ে  দিয়েছেন। পুলিশ ২১জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। পরে এরা সবাই জামিনে ছাড়া পায়। কিন্ত মৃত নয়নের পরিবারের অভিযোগের মূল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। তাই মৃত নয়ন মন্ডলের পরিবারের সদস্যরা  হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।গোটা ঘটনা নিয়ে তারা সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন। তাদের অভিযোগ পুলিশ তাদের কোনো বক্তব্য শুনছে না। এদিকে আদালত রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে কেন এই মামলাটি সিআইডির  হাতে তুলে দেওয়া হবে না। এই পরিস্থিতিতে অভিযুক্তরা ও পুলিশ  আদালত থেকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য মৃত নয়ন মন্ডলের পরিবারের উপর চাপ দিচ্ছে।

যদিও গোটা ঘটনা নিয়ে অভিযুক্ত মহব্বত আলী বলেন,সমস্ত ঘটনা ভিত্তিহীন। তাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর জন্য চক্রান্ত করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।  পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করছে। তার পুলিশের ওপর ভরসা রয়েছে তার।

গোটা ঘটনা নিয়ে পুকুরিয়া থানা বা জেলার পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ মুখে কুলুপ দিয়েছেন।