অশোক দাসের উপর আক্রমনের ঘটনায় ফের শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্য চলে এলো বলে মত রাজনৈতিক মহলের

অশোক দাসের উপর আক্রমনের ঘটনায় ফের শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্য চলে এলো বলে মত রাজনৈতিক মহলের

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

 

 

 

নিজস্ব সংবাদদাতা,বহরমপুর,১০ই ডিসেম্বর : তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সহ সভাপতি অশোক দাসের উপর আক্রমনের ঘটনায় ফের শাসন দলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্য চলে এলো বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যদিও গোষ্ঠী কোন্দল মানতে নারাজ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। ঘটনায় গ্রেপ্তার দলেরই কাউন্সিলর সহ সক্রিয় কর্মী। বহরমপুর দায়রা আদালত কানাই রায়কে ১৪ দিনের জেল হেফাজত ও ফিরোজ শেখকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় l

 

রবিবার সন্ধ্যায় বহরমপুর টাউন তৃণমূল কার্জালয়ে বোসা থাকা কালীন হামলার শিকার হন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সহ সভাপতি অশোক দাস। দুষ্কৃতি হামলায় মাথা ফাটে তার। ঘটনার পর পরই বহরমপুর টাউন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নারুগোপাল মুখার্জি অভিজোগ করেন ঘটনায় সাথে জুক্ত আছে বিজেপি ও কংগ্রেস।

যদিও তাদের উপর ওঠা অভিজোগ সম্পুর্ণ অশিকার করে কংগ্রেস ও বিজেপি। তারা সাফ জানায় ঘটনার সাথে তাদের কোন রকম জোগ সাজস নেই এটা শাসন দলের গোষ্ঠী কোন্দলের ফল।

ব্রিগেড সমাবেশের আগে মুর্শিদাবাদ জেলায় শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দলের আভাস আসতে শুরু করে । জেলা সভাপতির গড়া ২টি নতুন প্রচার কমিটির পর ফের আরও মহকুমা সভাপতি, ব্লক সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে
একটি প্রচার কমিটি গঠন করেন জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি অশোক দাস । শনিবার বিকেলে বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে নতুন কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়। এই নিয়েই জেলার রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তাহলে কি জেলা সভাপতি ও সহ সভাপতির মধ্যে বিভাজন শুরু হয়েছে।
এরপরই রবিবার সন্ধ্যায় দলিয় কার্জালয়ে হামলার শিকার হন অশোক দাস। ঘটনার পর পরই দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধীদের উপর অভিযোগ চাপাতে ময়দানে নেমে পরে। সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ করা হয় বিজেপি ও কংগ্রেসের দিকে। সেই সময় তখন আক্রান্ত অশোক দাসের পাশেই বসে থাকতে দেখা যায় বহরমপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কানাই রায়কে। ঠিক এই ঘটনার কয়েক ঘন্টা পর দেখা যায় ৭ জনের নামে যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলেন কাউন্সিলর কানাই রায়। এছাড়াও আর ৬ জন শাসক দলের সক্রিয় ক ফিরোজ সেখ,জালাউদ্দিন আহামেদ,বরূন দত্ত, মিলন সেখ,আলঙ্গীর সেখ, তরুণ গালেরা।
ঘটনায় কানাই রায় সহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় তাকে ফাসানো হয়েছে বলে কোর্টে জাওয়ার সময় জানান কানাই রায়।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top