নিয়োগ দুর্নীতি মামলা খারিজ হয়ে গিয়েছে জামিনের আবেদন। আংটি, মাদুলি ফিরে পেতে এবার মরিয়া মানিক ভট্টাচার্য!’নির্দিষ্ট জায়গায় ফের আবেদন করুন’, বললেন ব্যাংকশাল আদালতের বিচারক।
নিয়োগ দুর্নীতির মামলার শুনানি ছিল ব্যাংকশাল আদালতে। মানিক ভট্টাচার্যকে সশরীরে আদালতে পেশ করে ইডি। শুনানি তখন প্রায় শেষের দিকে। বিচারককে প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি বলেন, ‘১০ অক্টোবর ইডি অফিসে জিজ্ঞাসাবাদের সময় আমার ব্যক্তিগত জিনিস নিয়ে নেন তদন্তকারী অফিসাররা’। তাঁর অভিযোগ, ‘বলা হয়েছিল, ফেরত দেওয়া হবে, কিন্তু ফেরত পাইনি। পিপি-কে বলেছি, ফেরত পাইনি’।
১ বছর পার। ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের পর্যবেক্ষণ, ‘এই মুহূর্তে জামিন দিলে ইডির তদন্তে প্রভাব পড়বে। সমাজে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না’।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার চার্জশিটে নাম ছিল মানিকের স্ত্রীরও। তাঁকে অবশ্য ১ লক্ষ টাকা বন্ডে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষই। ইডি বিশেষ আদালতে পাসপোর্ট জমা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আবেদনকারীকে। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘জামিন খারিজের হলফনামায় মামলাকারী যে পালিয়ে যেতে পারেন বা তথ্য-প্রমাণ নষ্ট করতে পারেন, এমন কোনও আশঙ্কা প্রমাণ করেনি ইডি’।