আমের পর এবার আমস্বত্বে নিপার প্রভাব। ক্ষতির মুখে আমস্বস্ত প্রস্তুতকারকের ।কপালে চিন্তার ভাজ পরেছে তাদের। ফলে ঘরে পরে রয়েছে তাদের তৈরী আমস্বত্ব।
মালদা জেলায় এই বছর ৩১হাজার হেক্টোর জমিতে আম চাষ হয়েছে। একদিকে যেমন নিপা ভাইরাসের প্রভাবে দাম নেই মালদার অর্থকারী ফসল আমের তেমনী খদ্দের নেই আমস্বত্ব কেনার। প্রতিবছর এই সময় আমস্বত্ব কেনার ভীর দেখা যায়। কিন্তুু এই বছরে এখনো কোন খদ্দেরের দেখা নেই। বর্তমানে এই কারবারের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে জেলায় হাজারখানেক পরিবার।
আমস্বত্ব প্রস্তুুত কারকেরা জানিয়েছেন, প্রতি বছর মে মাস থেকে আমাদের এলাকায় আমস্বত্ব কেনার জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক আসতে শুরু করে। এই বছর জুন পেড়িয়ে জুলাই আসলেই দেখানেই খদ্দেরের। ফলে আমস্বত্ব তৈরী করে ঘরে মজুত করা হলেও নেই ক্রেতা। ২০১৭ সালে আমস্বত্ব বিক্রি হয়েছিল ১০০০ থেকে ১৫০০টাকা প্রতি কিলো। সেই বছর কিছুটা লাভ হয়েছিল। এই বছর তার কিঞ্চিত অংশ এখনো বিক্রি হয়নি। ফলে চিন্তিত আমরা।
আমস্বত্ব প্রস্তুতকারকেরা আরও জানান, আমস্বত্বের ওপর নির্ভর করে আমাদের এলাকার কয়েকশো পরিবার সংসার নির্বাহ করে। যার ওপর নির্ভর করে ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা ও সারা বছর সংসার চলে। বর্তমানে নিপার আতঙ্কে আমস্বত্বর বাজার নেই। আমরা আতঙ্কে রয়েছি। আমরা এই বিষয়ে সরকারী সাহায্য পেলে উপকৃত হবো।
গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিক সুকান্ত সাহা বলেন, আমের পাশাপাশি আমস্বত্বকেও বিদেশের বাজারে পাঠানোর চেষ্টা চলছে। যে সব রাজ্যে আম উৎপাদন কম হয় সেই সব রাজ্যগুলিতে আমস্বত্ব বাজারজাত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।