ইউরোপে আবারও গ্যাস সরবরাহ শুরু করেছে রাশিয়া। দশ দিন বন্ধ থাকার পর একটি বড় পাইপলাইনের মাধ্যমে এই গ্যাস সরবরাহ শুরু করল দেশটি, যদিও তা খুব অল্পপরিমাণে। এর আগে গ্যাস বন্ধ করে দেওয়ার সময় ইইউ সতর্কতা জারি করে বলেছিল, মস্কো গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে আনবে বা পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারে। খবর বিবিসির। বিবিসি জানায়, রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করলে আগামী সাত মাসে গ্যাসের ব্যবহার ১৫ শতাংশ কমানোর জন্য ইউরোপীয় কমিশন তার দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল।
রাশিয়া ইউরোপকে গত বছর ৪০ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ করেছিল। ২০২০ সালে জার্মানি ছিল সব থেকে বড় আমদানিকারক দেশ। কিন্তু, তারা রাশিয়ার ওপর গ্যাসের নির্ভরতা ৫৫ থেকে ৩৫ শতাংশ কমিয়ে আনে। এভাবে দেশটি রাশিয়া থেকে গ্যাস নেওয়া বন্ধ করতে চায়। ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে ইউরোপে পাইকারি গ্যাসের দাম বেড়েছে, যার প্রভাব ভোক্তাদের জ্বালানি খরচের ওপর পড়েছে।
ইউরোপীয় কমিশন বলেছে, ২০২১ সালের মে মাসের তুলনায় ২০২২ সালের মে মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজধানীতে পরিবারের জন্য খুচরা বিদ্যুতের দাম ৪৪ শতাংশ বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে নেদারল্যান্ডসে ১৬৭ শতাংশের বেশি, অস্ট্রিয়ায় ১২২ শতাংশ ও ইতালিতে ১১৮ শতাংশ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ‘রাষ্ট্রীয় গ্যাস সংস্থা গ্যাজপ্রম চুক্তির সব শর্ত পূরণ করবে।’
আরও পড়ুন – শিলিগুড়িতে এটিএম প্রহরায় পথকুকুর
উল্লেখ্য, ইউরোপে আবারও গ্যাস সরবরাহ শুরু করেছে রাশিয়া। দশ দিন বন্ধ থাকার পর একটি বড় পাইপলাইনের মাধ্যমে এই গ্যাস সরবরাহ শুরু করল দেশটি, যদিও তা খুব অল্পপরিমাণে। এর আগে গ্যাস বন্ধ করে দেওয়ার সময় ইইউ সতর্কতা জারি করে বলেছিল, মস্কো গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে আনবে বা পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারে। খবর বিবিসির। বিবিসি জানায়, রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করলে আগামী সাত মাসে গ্যাসের ব্যবহার ১৫ শতাংশ কমানোর জন্য ইউরোপীয় কমিশন তার দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল।