একদিন সামান্য ইঁদুরকে ভয় পেয়েছিলেন পুতিন। আজ গোটা বিশ্বের রাজনীতি এবং কূটনীতি যাকে ঘিরে রয়েছে। যার প্রতিটা কাজ নজরে রাখছেন বিশ্বের সমস্ত দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। যার শক্তির আলোচনা সর্বত্র। জানলে অবাক হবেন একদিন সামান্য একটি ইঁদুরকেও ভয় পেয়েছিলেন তিনি। সেই ব্যক্তি আর কেউ নন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিভিন্ন বই এবং সংবাপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পুতিনের শৈশব কেটেছে চরম দারিদ্রের মধ্য়ে।
তারা বাবা ভ্লাদিমির স্পিরিদোনোভইচ পুতিন এবং মা মারিয়া শেলোমোভার প্রথম দুটি সন্তান মারা যায়। ফলে পুতিনকে অনেক যত্নে মানুষ করেন তারা। একটা ছোট, ঘিঞ্জি ঘরেই পুতিনের বেড়ে ওঠা। সেই ঘরে তারা ছাড়াও ছিল ইঁদুরের বাসা। ছোট-বড় নানান সাইজের ইঁদুর তাদের ঘরে ছিল। ইঁদুরের উৎপাতে নাজেহাল ছিল পুতিনের পরিবার। বায়োগ্রাফিতে একটা ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানে তিনি লিখেছেন, “একদিন ঘরে একাট পেল্লাই সাইজের ইঁদুর ঢুকেছিল। সেটাকে তাড়াতে তাড়াতে ঘরের এককোণে নিয়ে গিয়েছিলাম আমি। হঠাৎ করে ইঁদুটা আমার উপর লাফ মারে। এরপর দেখি আমি ইঁদুরের পিছনে ছুটছি না, বরং ইঁদুর আমার পিছনে ছুটছে। আমি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।”
আর ও পড়ুন নন্দীগ্রাম দিবসে টুইটে ২০০৭-র ঘটনা স্মরণ করলেন মমতা
জানা যায়, স্কুলে খুব দুষ্টু ছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন। জিম প্রশিক্ষক থেকে শুরু করে স্কুলের সিনিয়র ছাত্র, শৈশবে প্রত্যেকের সঙ্গে মারপিট করতেন বর্তমান রুশ প্রেসিডেন্ট। তবে ইতিহাস তার বরাবরের প্রিয় বিষয় ছিল। হাইস্কুলের পড়া শেষ করে আইন পড়তে যান ভ্রাদিমির পুতিন। তখনই কেজিবি-তে চাকরি সুযোগ পান তিনি। ১৯৯০-তে রাজনীতিতে পা রাখেন পুতিন। এরপর ধীরে ধীরে তার ক্ষমতা বাড়তে থাকে। ১৯৯৯-তে Government of the Russian Federation-এর কার্যকারী প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন তিনি। এর ঠিক এক বছর পরেই রাশিয়ার কার্যকারী প্রেসিডেন্ট হন পুতিন। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত রুশ প্রেসিডেন্ট রয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন।