চেন্নাই – তামিলনাডুর কুখ্যাত গ্যাংস্টার এবং ২১ খুনের মামলার আসামী সুভাষ চন্দ্র বোসকে এনকাউন্টারে খতম করল মাদুরাই পুলিশ। গত সোমবার (৩১ মার্চ) শহরের অদূরে এক পুলিশ চৌকির কাছেই গুলির লড়াইয়ে খতম করা হয় তাকে। গুলির লড়াইয়ে পুলিশের দুই কমীও জখম হয়েছেন। তাদের স্থানীয় এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।দুজনের অবস্থাই স্থিতিশীল।
মাদুরাই পুলিশের কমিশনার জে লোগেনাথন জানিয়েছেন, ২০০৩ সাল থেকেই শহরের অন্ধকার জগতের মালিকানা নিয়ে গুরুস্বামী ও রাজপন্ডিংয়ের গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই ছিল। ২০০৩ সালে চিত্রা মুনীশের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ওই লড়াই শুরু হয়েছিল। সম্প্রতি গুরুস্বামী গ্যাংয়ের সদস্য মাগুথালাই মণির বন্ধু মুরুগন্ধমকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। পুলিশে চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল মুরুগন্ধম। প্রকাশ্য দিবালোকেই শিরশ্ছেদ করে তাকে হত্যা করা হয়েছিল। ওই নৃশংস খুনের তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে রাজপন্ডিং গোষ্ঠীর সদস্য তথা কুখ্যাত অপরাধী সুভাষ চন্দ্র বোসের জড়িত থাকার কথা জানতে পারে।
গত কয়েকদিন ধরেই সুভাষের খোঁজে তল্লাশি চলছিল। গোপন সূত্রে খবর পাওয়া যায়, শহরের একটি গোপন ডেরায় ঘাঁটি গেড়েছে কুখ্যাত অপরাধী। শহর ছেড়ে পালানোর সময়েই পেরুনগুড়ির একটি তল্লাশি চৌকিতে ধরা পড়ে যায় সুভাষ। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে সেই নির্দেশ না মেনে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ বাধা দিলে গুলি চালাতে শুরু করে। প্রত্যুত্তরে পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ। বেশ খানিকক্ষণ গুলির লড়াই চলে। পুলিশের গুলি গিয়ে বুকে বেঁধে সুভাষের। গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে রাজাজি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
