ঐতিহ্য টাঙা গাড়ির উপর থাবা বসাচ্ছে টো টো

ধীরে ধীরে ঐতিহাসিক জেলার ঐতিহ্য টাঙা গাড়ির উপর থাবা বসাচ্ছে টো টো, যদিও পর্জটকদের এখনও প্রথম পছন্দদের টাঙা গাড়ি।

ঐতিহাসিক জেলা মুর্শিদাবাদ, প্রায় প্রতিদিনই এই জেলায় ইতিহাসের টানে ভীড় জমান বহু পর্জটকেরা। এই জেলায় এখন আর নবাব না থাকলেও আছে নবাবী আমলের টাঙা গাড়ি। আজও এই টাঙা চেপে পর্জটকেরা ভ্রমণ করেন লালবাগ শহরের ইতিহাসকে। কিন্তু জত দিন জাচ্ছে ততই এই টাঙা গাড়ির জায়গা নিচ্ছে টো টো গাড়ি। পর্জটকেরা ভাগ হয়ে যাচ্ছে টাঙা গাড়ি ও টো গাড়ির মধ্যে, আর এই জেরেই কিছুটা হলেও মার খাচ্ছে ইতিহাসের শাক্ষি টাঙা গাড়ি।

এই নবাব নগরীতে এখন প্রায় কমকরে ৩০০ টাঙা গাড়ি রয়েছে। এই টাঙা গাড়ি চালাতে প্রায় প্রতিদিন গড়ে খবর পরে ২০০ থেকে ২৫০ টাকার কাছাকাছি। জার মধ্যে রয়েছে ঘোড়ার খাবার প্রধান ছোলা, গুর, খর সহ অন্যান্য আনুসাঙ্গিক মিলিয়ে প্রায় ২৫০ টাকার খাবার। সারাদিন টাঙা গাড়ি চালিয়ে কেউ বা উপাজন করে ৪০০ টাকা আবার কেউ বা তার থেকে কিছু বেশি। তাতে তাদের কোন ক্রমে সংসার টুকু চলে। সারা বছর পর্জটন তেমন না থাকলেও উৎসবের মরশুমে এই উপাজন কিছু বেশি হয়। তা দিয়েই সংসার চালান তারা। সারা বছরের পয়সার ঘারতি কিছুটা হলেও মিটিনে নেই এই উৎসবের মরশুমে। তবে আগের থেকে সময় বদলেছে, আগে যেখানে পর্জটকদের কাছে টাঙা গাড়িয় ছিল ইতিহাস খ্যাত মুর্শিদাবাদ ঘোরার একমাত্র মাধ্যম, সেখানে আজ এসেছে টোটো। কিন্তু এতে তাদের কোন ক্ষতি হয়নি বলেই মনে করছেন টাঙা গাড়ির চালকেরা। তাদের কথায় পর্জটকেরা ভ্রমণ করতে পছন্দ করে পুরনো টাঙাকেউ।

 

অন্যদিকে এই টাঙার কাছে এখন রড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসে হাজির হয়েছে টোটো। অল্প সময়ে, অল্প খরচে পর্জটক স্থান গুলি ঘুরতে পাচ্ছেন পর্জটকেরা। তাই পর্জটকেদের মধ্যে অনেকেই এই টোটো গাড়িকেই পছন্দ করছেন। ঐতিহাসিক জেলার লালবাগ শহরের বেশ কয়েকটি ইতিহাসখ্যাত স্থান রয়েছে, যেখানে টাঙা গাড়ির পক্ষে যাওয়া প্রায় জায়না বললেই চলে, ফলে সেখানে পর্জটকদের পক্ষে যাওয়া হয়ে ওঠে না। আর সেখানেই চাহিদা বাড়ছে তিন চাকার টোটোর। এক টোটো চালক জানান তাদের টোটো গাড়ি আসার পর এখন পর্জটকদের মধ্যে দুই ভাগে ভাগ হয়ে যাচ্ছেন। তারা একটু কম সময়ে ও কম খরচে পর্জটকদের পোচ্ছে দিচ্ছেন, ফলে টোটোকেই পচ্ছন করছেন পর্জটকেরা।
এবিষয়ে ঐতিহাসিক মুর্শিদাবাদের ছোটে নবাব রেজা আলী মিঞা জানান টোটো গাড়ি আসার পর, তেমন কোন ক্ষতি হয়নি টাঙা চালকদের। কারন অনেকেই এই জেলায় এসে নবারের ঐতিহ্যকে খুজতে আজও টাঙা গাড়ি কেউ পছন্দের তালিকায় রাখেন, আগেই যেভাবে টাঙা গাড়ি চলতো আজও একই আছে।
জেলার ইতিহাসে টানে ঘুরতে এসেছে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে এসেছেন এক পর্জটকের দল। তাদের দাবি না এখন এই জেলায় আছে ইতিহাসের নবাবী টাঙা অথ্যাৎ ঘোড়ার গাড়ি। একদিকে যেমন তাদের কাছে টাঙা গাড়ি মানে অন্যরকম অভিজ্ঞতা তেমনি একটু নবাবী ভাব জাগাতেই এই টাঙা গাড়ির কদর এখনও আছে।
তবে যে জায় বলুক লালবাগ শহরের বাশিন্দাদের দাবি কিন্তু একটু অন্যরকম, তারা মনে করছেন টোটো গাড়ি আসার পর এখন পর্জটকেরা ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দের হচ্ছে টোটো গাড়িতেই। তার মতে এখন লালবাগ শহরে কিন্তু আধিপত্য বিস্তার করেছে আজকের টোটো। একদিকে যেমন ভাঙা কম অন্যদিকে অল্প সময়ে ঘুরে আসতে পারেন পর্জটকেরা।
তবে জায় হোক এখনও এই বিষয়ে দ্বিধা থেকেই যায় নবাব নগরীকে এখন কার আধিপত্য আছে নবারের আমলের টাঙা গাড়ি না এখনকার তিন চাকার টোটো গাড়ি।