
কাবুল বিমানবন্দর ছাড়তে শুরু করেছে মার্কিন সেনারা ( Soldiers ) । এমনটাই জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (পেন্টাগন)। যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদেশগুলো নিজেদের নাগরিক ও আফগানিস্তানের নতুন তালেবান শাসকদের প্রতিশোধের ঝুঁকির মুখে থাকা আফগানদের বিমান যোগে সরিয়ে নেওয়া শুরু করার দুই সপ্তাহ পর শনিবার সেনাদের ( Soldiers ) সরিয়ে নেওয়া শুরু করল পেন্টাগন।
যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলোর বিদেশি সেনারা ( Soldiers ) মঙ্গলবারের মধ্যে আফগানিস্তান ছাড়ার চেষ্টা করছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। এর মাধ্যমে দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের ২০ বছর ধরে চলা সামরিক সম্পৃক্ততার অবসান হতে চলেছে।
কিন্তু তার আগে বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৩ মার্কিন সৈন্য ও আরও প্রায় ১৭০ জন নিহত হন। এটি গত এক দশকের মধ্যে আফগানিস্তানে সবচেয়ে বেশি মার্কিন সৈন্য নিহতের ঘটনা।
এর জেরে আফগানিস্তান ছাড়ার শেষ সময়েও দেশটির নানগারহার প্রদেশে ড্রোন হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ হামলায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দুই শীর্ষ জঙ্গি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে তারা। আইএস কাবুল বিমানবন্দরে হামলার দায় স্বীকার করেছে।
আর ও পড়ুন উত্তবঙ্গের ( Northbengal ) ঐতিহ্য টয়ট্রেন উঠছে দাড়িপাল্লায়
পশ্চিমা দেশগুলো ও তালেবান, উভয়ের শত্রু এই গোষ্ঠীটি একই ধরনের আরও হামলা চালাতে পারে বলে সতর্ক করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। আইএসের শত্রু হলেও তালেবান নানগারহারে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলার নিন্দা করেছে।
তালেবানের মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘বিমান হামলা চালানোর আগে মার্কিনিদের উচিত ছিল আমাদের জানানো, এটি পরিষ্কার আফগানিস্তানের ভূখণ্ডে হামলা।’ বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত কিছু সন্দেহভাজনকে তারা গ্রেপ্তার করেছে বলে তালেবান জানিয়েছে।
চলতি মাসের প্রথমদিকে তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করলে মরিয়া হয়ে দেশটি ছাড়ার চেষ্টারত মার্কিন নাগরিক, যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী আফগান নাগরিক ও অন্যান্য বিদেশিদের সরিয়ে আনা নির্বিঘ্ন করতে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কয়েক হাজার অতিরিক্ত সেনা পাঠান বাইডেন।