ক্রিমিয়া নিয়ে পশ্চিমারা ‘ভয়ঙ্কর ভুল’ করেছিল, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, পশ্চিমারা ‘ভয়ঙ্কর ভুল’ করেছিল এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখল করে পার পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফকে জনসন বলেন, ক্রেমলিনের গুন্ডামির শেষ দেখার জন্য রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের ওপর পশ্চিমা দেশগুলোর নির্ভরশীলতার ইতি টানা প্রয়োজন ছিল। এমন এক সময়ে তিনি এসব কথা বললেন যখন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিবিসি জানতে পেরেছে যে, নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসতে পারেন (রাশিয়ার) প্রায় ১০০ ব্যক্তি।
এ নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একটি খসড়া অনুমোদনের পথে রয়েছে। এতে নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা রুশ নাগরিকরা। এটা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের চতুর্থ দফা নিষেধাজ্ঞা। জনসন বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনের ‘অব্যাহত ব্ল্যাকমেইল’ থামাতে রাশিয়ার জীবাশ্ম জ্বালানীর ওপর নির্ভরশীলতা কমানোটাই পশ্চিমাদের জন্য একমাত্র পথ। এ প্রক্রিয়াটাকে ‘কষ্টদায়ক’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল সরবরাহ বন্ধ হতে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরব ও উপসাগরীয় দেশগুলোতে সফরে যাওয়ার কথা ভাবছেন।
সেইসঙ্গে নর্থ সি’তে তেল ও গ্যাসের জন্য আরও বেশি অনুসন্ধান চালানোর ওপর জোর দেন জনসন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। একইসঙ্গে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী। যুদ্ধে দুই পক্ষেরই ব্যাপক প্রাণহানীর খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে যুদ্ধের কারণে ইউক্রেন ছেড়েছেন ২৫ লাখের বেশি মানুষ।
আর ও পড়ুন নন্দীগ্রাম দিবসে টুইটে ২০০৭-র ঘটনা স্মরণ করলেন মমতা
তারা প্রতিবেশি দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। সূত্র জানায়, রাশিয়ার সীমান্তবর্তী ইউক্রেনের শহরগুলো ঘিরে রেখেছে রুশ সেনা বাহিনী; হামলা চলছে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভেও। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পাশে অবস্থান করছে রুশ বাহিনীর ৪০ মাইল দীর্ঘ একটি বহর। তারা যে কোনো সময় শহরটিতে হামলা চালাতে পারে। রাশিয়ার গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় খারকিভ, মারিওপল শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানীর খবর পাওয়া যাচ্ছে।