চীনে ভয়াবহ বন্যায় ১৭ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গত সপ্তাহে মুষলধারে বৃষ্টির ফলে প্রদেশের ৭০ টিরও বেশি জেলা ও শহরের অনেক বাড়িঘর ভেঙে পড়ে এবং ভূমিধস হয়। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। হেনান প্রদেশে ৩০০ মানুষ মারা যাওয়ার তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এখানে বন্যা শুরু হলো। শ্যানশিতে বেশ কয়েকটি প্রাচীন স্থাপত্য কীর্তি রয়েছে যা বৃষ্টিপাতের কারণে গুরুতর ঝুঁকিতে রয়েছে।
এক লাখ ২০ হাজারেও বেশি লোককে জরুরি ভিত্তিতে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এবং সরিয়ে নিয়ে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। শ্যানশি প্রদেশজুড়ে ১৭ লাখ ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে। চীনের এই প্রদেশটিতে ভূমিধসে চার পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। তবে অন্যান্য হতাহতের বিষয়ে কিছু জানায়নি তারা। এতে আরও বলা হয়েছে, শ্যানশির বন্যা হেনানের চেয়েও মারাত্মক হতে পারে।
আর ও পড়ুন ফের পিছিয়ে গেল শাহরুখ পুত্র আরিয়নের শুনানির তারিখ
শ্যানশির প্রাদেশিক রাজধানী তাইয়ুয়ানে গত সপ্তাহে প্রায় ১৮৫ দশমিক ছয় মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। অথচ ১৯৮১ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত শহরটিতে অক্টোবরের গড় বৃষ্টিপাত মাত্র ২৫ মিলিমিটার। তাইয়ুয়ানে উদ্ধারকারীরা মেগাফোন ব্যবহার করে আটকে পড়া লোকদের বলছেন, “শিশুদের মাথার উপরে তুলে ধরে রাখুন, নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে বৃদ্ধ ও মহিলারা অগ্রাধিকার পাবেন। আতঙ্কিত হবেন না, সবাইকে উদ্ধার করা হবে।”
উল্লেখ্য, শ্যানশি একটি গুরুত্বপূর্ণ কয়লা খনি অঞ্চল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে চীন সরকার সেখানকার খনি ও রাসায়নিক কারখানাগুলো বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে।ইতোমধ্যেই চীন বিদ্যুৎ সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে। এতে বিস্তৃত অঞ্চল বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছিল। সরকার বন্দর ও কারখানাগুলোতে বিদ্যুতের ব্যবহার সীমিত করেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে। বন্যা বিধ্বস্ত এলাকায় তারা ৬০টি কয়লা খনি, ৩৭২টি অন্যান্য খনি ও ১৪টি বিপজ্জনক রাসায়নিক কারখানার কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চীনে ভয়াবহ বন্যায় ১৭ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গত সপ্তাহে মুষলধারে বৃষ্টির ফলে প্রদেশের ৭০ টিরও বেশি জেলা ও শহরের অনেক বাড়িঘর ভেঙে পড়ে এবং ভূমিধস হয়। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। হেনান প্রদেশে ৩০০ মানুষ মারা যাওয়ার তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এখানে বন্যা শুরু হলো। শ্যানশিতে বেশ কয়েকটি প্রাচীন স্থাপত্য কীর্তি রয়েছে যা বৃষ্টিপাতের কারণে গুরুতর ঝুঁকিতে রয়েছে।