মুম্বাই -শনিবার পাকিস্তানে মৃত্যু হয়েছে কুখ্যাত জঙ্গি আবু কাতাল। তদন্তকারী সংস্থাগুলির ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকার শীর্ষে ছিল সে এবং ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত ছিল। জম্মু ও কাশ্মীরে একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলার পিছনে তার নাম জড়িয়েছিল অতীতে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ঝিলাম জেলায় শনিবার রাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে কাতাল নিহত হয়। গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় অজ্ঞাতপরিচয় কয়কজন ব্যক্তি তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ঘটনায় তার গাড়ির চালকেরও মৃত্যু হয়েছে। কারা এই খুন করল, তা এখনও জানা যায়নি। পাকিস্তানে একাধিক ছদ্মনাম ব্যবহার করত কাতাল, যার মধ্যে ‘ফয়সল নাদিম’ ও ‘কাতাল সিন্ধি’ অন্যতম।
হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কাতাল লশকর-ই-তৈবার প্রধান অপারেশনাল কমান্ডার পদে নিযুক্ত ছিল। ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র চার্জশিট অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চলে লশকর জঙ্গিদের প্রবেশ করিয়ে একাধিক হামলা পরিচালনা করেছে।
২০২৩ সালে রাজৌরিতে পাকিস্তান যে হামলা চালিয়েছিল, তার পিছনেও এই জঙ্গির হাত ছিল। সেই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন দুই শিশু-সহ সাতজন। ২০২৩ সালে রিয়াসি জেলায় পুণ্যার্থীদের বাসে হামলারও মূল চক্রী ছিল সে। এনআইএ-র চার্জশিটে কাতালের সঙ্গে লশকরের আরও দুই জঙ্গি— সাজিদ জাট ও মহম্মদ কাশিমের নামও রয়েছে। কাতাল ও সাজিদ পাকিস্তানের নাগরিক, আর কাশিম ২০০২ সালে ভারত থেকে পাকিস্তানে গিয়ে লশকর-ই-তৈবায় যোগ দেয়।
কাতালের মৃত্যুর পর হাফিজ সইদের অবস্থান নিয়ে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, লাহোরের কোথাও লুকিয়ে আছে সে।
