গ্রাম্য বিবাদকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিলো মুর্শিদাবাদের লালগোলার বাখোর পুর লয়াপাড়া এলাকা, এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ স্থানীয় প্রাক্তন উপপ্রধান সহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে। পালটা গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগ। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী
সুত্রের খবর রবিবার লালগোলার বাখোর পুর লয়াপাড়া এলাকায় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল, যার দায়িত্বে ছিল প্রায় ৬০ জন শান্তি উন্নয়ন কমিটির সদস্য। অনুষ্ঠান শেষ করে রাত্রী ১২ নাগাদ বাড়ি ফেরে কমিটির সদস্য খাইরুল ইসলাম। খাইরুল ইসলামের অভিযোগ বাড়ি ফিরতেই খাইরুলের দরজায় লাথি মারতে থাকে প্রাক্তন উপপ্রধান সেতাবুর ইসলাম, তার ভাই সাদিকুল ইসলাম, আতাবুর ইসলাম সহ জনা ৫ থেকে ৬ জন দুষ্কৃতি বলে অভিযোগ, এমনকি তাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজও করে বলে অভিযোগ। অবস্থা বেগতিক বুঝে ঘটনার কথা খাইরুল ওই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কমিটির কর্মকর্তাদের জানালে তারা তার কাকা নাজিবুর রহমান সহ বেশ কয়েকজনকে তার বাড়িতে পাঠায়। খাইরুলের বাড়ির সামনে আসতেই তাদের উপর চড়াও হয় প্রাক্তন উপপ্রধান সেতাবুর ইসলাম সহ তার সহযোগীরা বলে অভিযোগ। ছাদের উপর থেকে তাদের উপর ইট ছুড়তে থাকে । ঘটনাস্থল থেকে সবাই সড়ে যেতে সক্ষম হলেও ,সেখানে ইটের খায়ে জখম হন কাকা নাজিবুর রহমান। এরপর নাজিবুর রহমানের উপর মদ্য অবস্থায় চড়াও হয় প্রাক্তন উপপ্রধান সেতাবুর ইসলাম সহ তার সহযোগীরা বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতি হামলায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নাজিবুল রহমানের। পুরনো শত্রুতার জেরে পরিকল্পিত ভাবে নাজিবুল ইসলামকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।
ঘটনার পরদিন অথ্যাত সোমবার সকালে অভিযুক্ত প্রাক্তন উপপ্রধান সেতাবুর ইসলালের বাড়িতে চড়াও হয় গ্রামবাসীরা বলে অভিযোগ। বাড়ির আসবাব পত্র ভাঙচুর করা হয় এমনকি বাড়ির মহিলাদের উপরও হামলা চালান হয় বলে অভিযোগ করেন সেতাবুর রহমানের মহিলারা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ঘটনায় অভিযুক্ত বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। পিটিয়ে খুনের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিসাল পুলিস বাহিনী। ঘটনার পর থেকেই ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা, অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন তারা, এখন এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। কি কারনে এই খুন তার তদন্তে নেমেছে পুলিশ ।