ধূপগুড়ি – নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর চরম পরিণতি রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলির। কোনও স্কুলের শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন তো কোথাও গ্রুপ ডি কর্মী। কোন স্কুলের সায়েন্স বিভাগ শূন্য হয়ে গিয়েছে তো কোথাও প্রধান শিক্ষকের বাজাতে হচ্ছে ঘণ্টা।উত্তরবঙ্গের ধূপগুড়ি পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোষপাড়া জুনিয়র হাইস্কুলের অবস্থা আরও করুণ। একজন শিক্ষক এবং একজন গ্রুপ ডি কর্মীকে নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছিল এই স্কুল। গত মার্চ মাসের শেষে আচমকা মৃত্যু হয় স্কুলের একমাত্র শিক্ষকের।
এই জুনিয়র হাই স্কুলে বর্তমানে সাত জন পড়ুয়া রয়েছে। তাদের কথা ভেবে শিক্ষা দফতরের তরফে পাশের একটি স্কুলের এক শিক্ষিতাকে অস্থায়ী হিসেবে পাঠানো হয় ধুপগুড়ির ঘোষপাড়া জুনিয়র হাইস্কুলে। অস্থায়ী কর্মীকে নিয়ে এ’কদিন তিনি স্কুল চালাচ্ছিলেন।গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছেন ধুপগুড়ির এই স্কুলের অস্থায়ী কর্মীও। শুক্রবার থেকে তিনি আর স্কুলে আসেননি। ঘটনা জেনে বিপদে পড়ে গিয়েছেন স্কুলের একমাত্র অস্থায়ী শিক্ষিকা সৌমিতা রায়। স্কুলের গেট খোলা থেকে ক্লাস সামলানো একা হাতে সব কিছুই সামলাতে হচ্ছে তাঁকে।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বললেন, “নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় স্কুলের গ্রুপ ডি’র কর্মীর চাকরি চলে গেছে। ফলে সবকিছু আমাকেই সামলাতে হচ্ছে। শিক্ষা দফতরকে জানিয়েছি, দেখা যাক ওনারা কী করেন।”স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরেই এই স্কুলটিতে শিক্ষকের সংখ্যা খুবই কম। যার জেরে পড়ুয়ার সংখ্যা কমতে কমতে সাতে এসে ঠেকেছে। অথচ এক সময় এই স্কুলেই শতাধিক পড়ুয়া পড়াশোনা করতো।প্রসঙ্গত শুধু ধুপগুড়ি নয় রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলই এখন ধুঁকছে, কোথাও চাকরি হারা হয়েছেন একাধিক শিক্ষক কোথাও বা অশিক্ষক কর্মী।
