কলকাতা – উত্তর কলকাতার বটতলা থানা এলাকার দুর্গাচরণ মিত্র স্ট্রিটে চার তলার বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক কিশোরীর। মৃত কিশোরীর নাম হেতাল মালি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে শুক্রবার রাতে দুর্গাচরণ নির্দেশ দিতে যে বাড়িতে তারা থাকতো সেই বাড়ির চার তলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে ওই কিশোরী যখন কথা বলছিল সেই সময় আচমকা ৪ ফুট বাই ১০ ফুটের বারান্দাটি ভেঙে হেতাল নিচের রাস্তায় পড়ে যায়।এরপর ওই কিশোরীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর শনিবার সন্ধ্যায় পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জানা গেছে যে বাড়িতে ওই কিশোরী থাকতো সেই বাড়িটি শতাধিক বছরের পুরনো।
ওই বাড়িটি কলকাতা পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। এই ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর সুনন্দা সরকার জানান, ওই কিশোরী ঘর থেকে বেরিয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়েছিল সেই সময় বারান্দাটি ভেঙ্গে পড়ে। তার শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাত লাগে। মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। মৃত কিশোরীর বাবা-মা গুজরাটের বাসিন্দা। তারা দুজনেই বাসন ফেরি করেন। এই দুর্ঘটনার পর ওই বাড়ির বিপদজনক বারান্দার অংশ ভেঙে ফেলতে উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতা পৌরসভা। তবে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে একাধিক জায়গায় এই ধরনের পুরনো বাড়ি রয়েছে। যে বাড়িটিতে ঘটনা ঘটেছে সেই বাড়িটিতে ৬৫ জন ভাড়াটে থাকে। অধিকাংশ বাড়ির অবস্থা জরাজীর্ণ। ভাড়াটিয়ারা থাকেন। ফলে ঠিকমত বাড়িওয়ালা বাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ করেন না। অনেক বাড়িতেই ভাড়াটিয়ার সঙ্গে বাড়িওয়ালার উচ্ছেদ মামলা বিচারাধীন।
ফলে প্রায় সই ঘটছে নানা ধরনের দুর্ঘটনা। ওই কিশোরীর ক্ষেত্রেও অকাল মৃত্যু নেমে আসে জরাজীর্ণ বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে দরুন। তবে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ কলকাতা পুরসভা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির এই জরাজীর্ণ বাড়িগুলি নিয়ে যে উদ্যোগ নেওয়া উচিত তাতে কোথাও ভাঁটা রয়েছে। বাড়িওয়ালাদের সঙ্গে বৈঠক করে স্থানীয় কাউন্সিলরকে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষজন। এলাকায় নিয়মিত নজরদারি চালানোর দাবি জানানো হয়েছে।
