ছেলের চিকিৎসার খরচ জোগাতে সাহায্যের দিকেই তাকিয়ে পরিবার

নিজস্ব সংবাদদাতা,রঘুনাথগঞ্জ, ১লা ডিসেম্বর :মাত্র এক বছরের ছেলের চিকিৎসায় চালাতে এখন সরকারী ও অন্যান্য সহৃদয় মানুষের দিকেই তাকিয়ে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের নীলরতন কলোনীর বাসিন্দা পেশায় মৃৎ শিল্পী জয়ন্ত হালদার ও তার পরিবার।

 

আজ থেকে একছর আগে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের নীলরতন কলোনীর বাসিন্দা পেশায় মৃৎ শিল্পী জয়ন্ত হালদার ও তার পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করে সংসারে এছেছিল পুত্র সন্তান সত্যম হালদার। আর চারটে বাচ্চার মতই সে আসতে আসতে বড় হচ্ছিল। সত্যমের বয়স যখন সবে ৬ মাস তখন আর পাঁচটা বাচ্চার মতই তারও দাঁত বেড়াতে শুরু করে, কিন্তু তার দাঁত বেডানোর সময় দাতের পাশে ছোট মাংসপিণ্ড বেডায়। প্রথম দিকে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি গুরুত্ব না দিলেও কিছুদিনের মধ্যেই এই মাংসপিন্ডের কারন জাতনে প্রথমে সত্যমকে তারা নিয়ে যায় রঘুনাথগঞ্জের বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের কাছে। তারা চিকিৎসা শুরু করার পর বলেন ভালো যায়গায় চিকিৎসা করাতে। তার কয়েকমাস পর সত্যমের বয়স যখন ৯ মাস তখন তাকে কলকাতায় এই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান, চিকিৎসক তাকে দেখার পরেই জানান তার অস্ত্র প্রচার করতে হবে। এরপরই তার অস্ত্র প্রচারের আগে এম আর আই ও বায়োপসি রিপোর্ট দেখার পর চিকিৎসক জানান, তার ব্লাড ক্যান্সার হতে পারে এবং তাকে বাইরে চিকিৎসার করার জন্য পরামর্শ দেন। বাড়ি ফিরে এসে কয়েক মাস ধরে তাদের জমান যে টাকা পয়সা ছিল, এবং তাদের সোনা দানা সহ যাবতীয় সম্বল টুকু নিয়ে তারা ছেলের চিকিৎসার জন্য পাড়ি দিলেন মুম্বাইয়ে শহরে। এখন ছেলের চিকিৎসা চালাতে শেষ সম্বল হারিয়ে সরকারী ও ও অন্যান্য শহৃয় মানুষের দিকেই তাকিয়ে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের নীলরতন কলোনীর বাশিন্দা পেশায় মৃৎ শিল্পী জয়ন্ত হালদার ও তার পরিবার। পরিবার চাইছে আবার যেন ছেলে সুস্থ্য হয়ে ঘরে ফিরুক এবং আবার আসতে আসতে ছোট ছোট পায়ে বাবা মায়ের হাত ধরে আর পাঁচটা ছেলের মতই বেড়ে উঠুক সত্যম।