দক্ষিন 24 পরগণা – ভুয়ো আধার কার্ড নিয়ে পাঁচ মাস ধরে বসবাস করেও পার পেল না বাংলাদেশি। উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ-বাংলাদেশ সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার পথে তাকে পাকড়াও করে পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ। একইসঙ্গে বাংলাদেশি নাগরিককে সীমান্ত পারাপারে মদতকারী এক এজেন্টকেও পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ।ধৃত বাংলাদেশি নাগরিকের নাম বিপুল চন্দ্র রায় এবং তাঁকে সাহায্যকারী এজেন্টের নাম মহম্মদ দুলাল। তিনি হেমতাবাদ চৈনগরের বাসিন্দা। তবে ভুয়ো আধার চক্রের কেউ এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার হননি। এর পিছনে বড় চক্র জড়িত রয়েছে বলে পুলিসের সন্দেহ। ঘটনার তদন্তে নেমেছে হেমতাবাদ থানার পুলিস। রায়গঞ্জের পুলিস সুপার সানা আখতার বৃহস্পতিবার বলেন, এই গ্রেপ্তারির পর সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এক বাংলাদেশি সহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার রাতে হেমতাবাদ হয়ে সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে ঢুকে যাওয়ার চেষ্টায় ছিল বিপুল চন্দ্র রায় নামে ওই বাংলাদেশি যুবক। তার বাড়ি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও থানার অধীন পীরগঞ্জ গ্রামে। ওই রাতেই দুলালের মদতে এদেশের সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশের ঢোকার আগে সীমান্ত এলাকা থেকে বিএসএফ বিপুল ও দুলালকে আটক করে। বিপুলের কাছ থেকে উদ্ধার হয় কয়েকটি বাংলাদেশি টাকা ও ভারতীয় আধার কার্ড। এরপরই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিএসএফ জানতে পারে বিপুল আদতে বাংলাদেশি। মাস পাঁচেক আগে কাজের সন্ধানে চোরাপথে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকে আসেন। এদেশে নির্ঝঞ্ঝাটে বসবাস করে কাজের সুবিধার জন্য চার হাজার টাকার বিনিময়ে দালাল মারফত আধার কার্ড তৈরি করান। তারপর থেকে সেই আধারকার্ডকে এদেশের সচিত্র পরিচয়পত্র হিসেবে ব্যবহার করেন। তিনি ভিনরাজ্যে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন। ৫ মাস পর বুধবার রাতে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার সময় বিএসএফ সীমান্ত এলাকায় বিপুলকে পাকড়াও করা হয়। সেইসময় সন্দেহজনকভাবে সীমান্ত এলাকায় ঘোরাঘুরির সময় দুলালকেও ধরে বিএসএফ। জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় বিপুলকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যাপারে দুলাল মদত দিচ্ছিলেন। শেষপর্যন্ত ধৃত দু’জনকেই পুলিসের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ।
