হাবড়ার জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শনে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবরা পৌরসভার জলমগ্ন চারটি ওয়ার্ড এর জল সরাতে এবার তৎপর হলেন স্বয়ং মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। রবিবার সকাল থেকেই জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। এদিন তিনি সদলবলে হাবরা পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন। হাবড়ার সরদারপাড়া কামিনীকুমার স্কুল সংলগ্ন এলাকায় যেখানে যেখানে জল যেতে বাধা পাচ্ছে।
সেই জায়গাগুলো ঘুরে দেখেন।
জ্যোতিপ্রিয়বাবু জানান এ বছর অতিবৃষ্টি এবং নদীয়া সহ অশোকনগরের জল চলে আসার দরুন এই দুর্গতি আপাতত চলছে। এখন ১৫ টি পাম্প চলছে। আরো দশটি পাম্প আসবে তিনি আশাবাদী। এই পাম্প একসঙ্গে চললে ১৫ দিনের মধ্যেই এই জল নামানো সম্ভব হবে।
এছাড়াও এলাকায় যেসমস্ত বেআইনি নির্মাণ করা হয়েছে সেই বেআইনি নির্মাণ খুব দ্রুত ভেঙে ফেলা হবে বলে মন্ত্রী আশ্বাস দেন। এছাড়াও আধুনিক বুষ্টিং স্টেশন করার জন্য ইতিমধ্যেই ২৫ কোটি টাকা অনুমোদন হয়েছে বলে মন্ত্রী দাবি করেন। এদিন মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন হাবরা পৌরসভার মুখ্য পৌর প্রশাসক নারায়ন চন্দ্র সাহা প্রশাসক নন্দা চক্রবর্তী সহ একাধিক নেতৃত্ব।
আর ও পড়ুন করোনা সংক্রমণে চতুর্থ স্থানে বাংলা, আক্রান্ত হচ্ছেন টিকা নেওয়া ব্যক্তিরাও
এদিন বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, ফেসবুকের রাজনীতি করছেন তাই করুন নিজেরা চিটফান্ডের অভিযোগে হাবরা থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অথচ পৌরসভা ভোটের আগে এসব অপপ্রচার করছেন।
যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দীর্ঘদিনের এই জলের সমস্যা হয়ে উঠেছে আমাদের এলাকায়। নিকাশি ব্যবস্থার স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এর সমাধান সূত্র বেরোবে না। মন্ত্রী এসে বলে গেলে হয় না কাজটা হতে হবে। গত বছর আমাদের এখানকার আট নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাচ্চা ছেলে ঘরের ভেতরে জলের মধ্যে পড়ে মৃত্যু হয়। দীর্ঘদিনের এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য যে অবৈধ নির্মাণ রয়েছে সেগুলি অতি অবশ্যই ভেঙে পরিষ্কার করতে হবে। এবং নদীর সঙ্গে এলাকার ড্রেনেজের সংযোগস্থল আরো চওড়া করে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে তবেই জল নিচে নামবে।