ট্যাবলেটে দুর্গা মুর্তি বানিয়ে জাতীয়স্তরে পুরস্কৃত হল বীরভূমের প্রসেনজিৎ। একলব্যের কথা মনে আছে? যার একাগ্রতার কাহিনী বর্ণিত আছে মহাভারতে। শুধুমাত্র, একাগ্রতা ও নিরলস পরিশ্রমের উপর ভর করে কারোর সাহায্য ছাড়াই সে হয়ে উঠেছিল শ্রেষ্ঠ ধনুর্ধর। আর এবার তেমনই এক একলব্যের কথা জানা গেল। যে, কোন প্রথাগত শিক্ষা ও ডিগ্রী ছাড়াই করে ফেলেছে অসাধ্য সাধন। একাগ্রতা ও নিরলস পরিশ্রমের ফলস্বরূপ রামপুরহাটের এক প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে প্রসেনজিৎ জয় করে ফেলল জাতীয়স্তরের পুরষ্কার। বাবা পেশায় ফুচকা বিক্রেতা, ‘দিন আনি দিন খাই’, পরিবারের ছেলে প্রসেনজিৎ।
অসম্ভব ধরনের আকর্ষণ শিল্প কর্মের প্রতি। কিন্তু, ইচ্ছে থাকলেও সামর্থ্য কোথায়! তাই প্রথাগত শিল্প কর্মের শিক্ষালাভেরও সুযোগ হয়ে ওঠেনি। কিন্তু, ছিল মনের জোর আর শিল্পকর্মের প্রতি আকর্ষণ। তাই তার কাছে কোন বাধাই বাধা হয়ে উঠেনি। সবকিছু জয় করে প্রসেনজিৎ এবার তৈরি করে ফেললো ১.৪ সেন্টিমিটারের মহিষাসুরমর্দিনী দুর্গার মুর্তি। আর তা তৈরি করা হয়েছে প্যারাসিটামল ট্যাবলেটের উপরে। এক্ষেত্রে নিছকই জ্বর, ব্যাথা নাশক এই সামান্য ট্যাবলেটই তাকে এনে দিয়েছে জাতীয়স্তরের পুরষ্কার।
আরও পড়ুন – ট্রেনে কাটা পরে দুই ছাত্রীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া ধুম ডাঙ্গী এলাকায়
প্রসেনজিৎ-এর শিল্পকর্মের হাতে খড়িটা স্কুলজীবনে স্থানীয় জয় কৃষ্ণপুর হাইস্কুলের কর্মশিক্ষার শিক্ষক পুলক কর্মকারের হাত ধরে। তারপর থেকেই সে, ২০১১ সালে থেকে বিভিন্ন মন্ডপে গিয়ে কাজ শুরু করে। নানান প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অদম্য জেদকে পাথেয় করে বাড়িতেও চলতে থাকে শিল্পকর্মের অনুশীলন। বিভিন্ন জায়গায় পুরস্কৃতও হন একাধিকবার। তবে, এবার একেবারে জাতীয়স্তরে এই সাফল্যে যেন জয় হলো সেই শিল্পেরই। আর আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল প্রসেনজিৎ-এর মতো কোহিনুরদের দ্যুতি কখনও আটকে রাখা যায় না। ট্যাবলেটেই দুর্গা। ট্যাবলেটে দুর্গা