দিল্লিতে মমতা-অভিষেকের সভার অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ

দিল্লিতে মমতা-অভিষেকের সভার অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ, শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে ২১ জুলাই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ‘দিল্লি চলো’র ডাক দিয়েছিলেন। ঘোষণা করেছিলেন, আগামী ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীতে ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রাখা-সহ কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দিল্লির রাজপথে সরব হবেন। পরে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই কর্মসূচিতে যোগদানের কথা বলেন। কিন্তু বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেন, দিল্লি পুলিশ তৃণমূলকে ওই কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি।

 

 

 

কুণাল বলেন, ‘‘২ অক্টোবর দিল্লিতে ধর্না হবে, এই ছিল আমাদের কর্মসূচি। সেই কর্মসূচিকে সামনে রেখেই আমাদের তরফ থেকে নিয়মমাফিক একটি আবেদন জমা দেওয়া হয়েছিল দিল্লি পুলিশের কাছে। যেখানে বলা হয়েছিল, ২ অক্টোবর আমাদের মূল কর্মসূচি। বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি করতে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত রামলীলা ময়দান পাওয়ার আবেদন করেছিলাম।’’ কুণালের অভিযোগ, ‘‘ধর্না কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে রামলীলা ময়দানেই তৃণমূল কর্মীদের থাকার বন্দোবস্ত করা হত।শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে দিল্লি পুলিশ আমাদের অনুমতি দেয়নি।’’

 

 

 

 

 

 

তৃণমূলের মুখপাত্র দাবি করেছেন,রাজনৈতিক কারণেই দিল্লি পুলিশ তাঁদের আবেদন বাতিল করে দিয়েছে।আগামী দিনে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব বিকল্প কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়েছেন কুণাল।ঘটনাচক্রে,যে দিন কুণাল কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করে তাদের দিল্লিতে কর্মসূচির অনুমতি না-দেওয়ার অভিযোগ করেছেন বিজেপির বিরুদ্ধে,সে দিনই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে যোগ দিতে মুম্বই গিয়েছেন।

 

 

 

আরও পড়ুন – রাখি উৎসবের পবিত্র দিনে কন্যা সন্তানদের জন্য বিশেষ উপহার উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর

 

 

 

 

প্রসঙ্গত,২১ জুলাইয়ের পর যে রাজনৈতিক সমাবেশে অভিষেক গিয়েছেন,সেখানেই কর্মীদের দিল্লিতে গিয়ে প্রতিবাদে শামিল হওয়ার কথা বলেছেন।কুণালের অভিযোগ, ‘‘২৩ অগস্ট আমরা আইনমাফিক আবেদন করেছিলাম।২৮ অগস্ট আমাদের একটি চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে,আরও আগে থেকে এই সংক্রান্ত বিষয়ে বুকিং করা উচিত ছিল।যে হেতু আগে থেকে বুকিং প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল সে হেতু আপনাদের আর অনুমতি দেওয়া যাবে না।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘আমরা মনে করছি, এ ভাবে বাংলার প্রতিবাদের কণ্ঠকে রোধ করার চেষ্টা হচ্ছে।বাংলার ন্যায্য পাওনা,বাংলার হকের টাকার দাবিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিবাদে শামিল হওয়ার কথা।সেখানে তাঁদের আটকানোর জন্য এটা করা হয়েছে।’’