দীপক ঘোষ বধূ নির্যাতন মামলায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন

দীপক ঘোষ বধূ নির্যাতন মামলায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

দীপক ঘোষ বধূ নির্যাতন মামলায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন। সালটা মনে নেই। তখন লিগ্যাল রিপোর্টিং করি। আলিপুর পুলিশ আদালতে শুনলাম একজন বড় আমলার পুত্রবধু তার আমলা শ্বশুরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। কি মামলা ! বধুনির্যাতনের মামলা। ৪৯৮ক ধারায় তখন এই ধরনের মামলায় জামিন পাওয়া যেত না। ননবেলেবেল বা জামিন অযোগ্য ছিল । যদিও এখন এসব মামলা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বেলেবেল বা জামিনযোগ‍্য হয়ে গেছে।

 

যাহোক আমলার নাম ছিল দীপক ঘোষ। আমি বেশ খানিকটা অবাক হলাম। যদিও তিনি জামিন পেয়ে যান। খবরটা করলাম। তবে অনেক মিডিয়া চেপে যায়। কারণ জানিনা। এরমধ‍্যে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে। গঙ্গার পাড়ে কালিঘাটের হরিশ চ‍্যাটার্জী স্ট্রিটের দামাল মেয়ে মুখ‍্যমন্ত্রী হয়েছেন। তার আন্তর্জাতিক প্রশংসা লাভ ঘটেছে। চৌত্রিশ বছরের কমিউনিস্ট সরকারকে উচ্ছেদ করতে সক্ষম হয়েছেন বলে স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট পত্নী হিলারি ক্লিনটন প্রশংসা করেছেন। সারা ভারতেও কমিউনিস্ট উৎখাতের জন‍্য প্রশংসায় ভাসিয়ে দিয়েছেন জনগণ।

 

পরে একদিন শুনলাম এই আমলা কাম রাজনীতিক একটি বই প্রকাশ করেছেন। বইটি কলেজস্ট্রিটের ডে’জ পাবলিশিং থেকে কিনলাম। ইংরেজি ও বাংলায় লেখা দুটো বই। বই না বলে কিছু আর টি আই করা এফিডেভিডের সমাহার বলা ভাল যা ছাপার আকারে প্রকাশ করেছেন। সেই বইটি হয়ে গেল সিপিএমের ভোট প্রচারের হাতিয়ার। কমপক্ষে এই দল ২০০০০ হাজার কপি কিনে সারা রাজ‍্যে বিলি করেছিল মমতার পাল থেকে হাওয়া কেড়ে নিতে। পারেনি। বাংলা বইটির নাম ‘মমতা ব‍ন্দ‍্যোপাধ‍্যায়কে যেমন দেখেছি’। ইংরেজিতে ‘ মমতা ব‍্যানার্জী অ‍্যজ আই হ‍্যাভ নোন হার অর গডেজ দ‍্যাট ফেইলড’। ‘ব‍্যর্থ দেবী’। মমতা ব‍্যর্থ। তাকে ব‍্যর্থ দেবীতে ভূষিত করেছেন লেখক দীপক কুমার ঘোষ। মুকুল রায় আদালতে মমতার হয়ে দীপকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছেন। যা আদালতে এখনো চলছে।

 

প্রশ্ন দীপকবাবু; এটা কী আপনার পক্ষে একটি  দুর্ভাগ্যজনক কাজ নয় যা বিশ্বাস ভঙ্গের দোষে দুষ্ট! দীপকবাবু ; আপনি যতটা দক্ষ আমলা ততটা দক্ষ লেখক নন। পড়লে বোঝা যায় এই বইয়ের বিষয় যদি না অগ্নিকন‍্যা মমতা ব‍্যানার্জীর নাম না থাকত তবে একটি বইও বিক্রি হত না। তবুও বলব অনেক বিষয়েই আপন দক্ষ মানুষ। দুটিই আমার সংগ্রহে আছে। তবে সম্প্রতি লেখা বইটি এখনো হাতে আসেনি। আপনার ২০১২ সালে লেখা বইদুটি।

আরও পড়ুন – পাকা রাস্তা নির্মাণের বোর্ড থাকলেও আদৌতে তৈরী হয়নি রাস্তা, বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

আমি পড়েছি। আপনি ব‍্যাক্তিগতভাবে মমতার অত‍্যন্ত ঘনিষ্ঠ মহলে ছিলেন। ভুল হল ঘনিষ্ঠতম বলয়ে ছিলেন। মমতার দয়ায় দুবার বিধায়ক হয়েছেন। দলের সবধরনের সাংগঠনিক কাজে প্রথমসারির বিশস্থ সেনাপতি ছিলেন। সেই আপনি আজ এক দশক ধরে মমতার বিরুদ্ধে এত জঘন্য অপপ্রচার করে চলেছেন যা এককথায় অনভিপ্রেত। বিশ্বাসঘাতকতার পরকাস্টা। এটাই মানুষের মানুষ হিসাবে মানবিক মুল‍্যবোধের পরিচয় বহনকারী  সবচেয়ে বড় পরীক্ষা। আপনি কি সে পরীক্ষায় পাস করেছেন? আপনাকেই উত্তরটা দিতে হবে।।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top