দেশের অন্যতম স্থলবন্দর মহদীপুর সীমান্তে তোলাবাজদের দৌরাত্ম্য মাফিয়াদের দাপটে এক ধাক্কায় রপ্তানি কমলো অর্ধেকেরও বেশি

দেশের অন্যতম স্থলবন্দর মহদীপুর সীমান্তে তোলাবাজদের দৌরাত্ম্য মাফিয়াদের দাপটে এক ধাক্কায় রপ্তানি কমলো অর্ধেকেরও বেশি। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন রপ্তানিকারকরা। মাফিয়া রাজ এর কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন শুল্ক দফতরের আধিকারিক। মালদার মহদীপুর স্থলবন্দর দেশের অন্যতম বন্দর গুলির মধ্যে একটি। এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে 400 লরি ওপার বাংলাদেশ যায়। পাথরের পাশাপাশি শাক সবজি ফল এক্সপোর্ট করা হয় বাংলাদেশ এ। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে সেই এক্সপোর্ট এর পরিমাণ কমেছে এখন দিনে মাত্র 200 টি লরি ওপারে যাচ্ছে। রপ্তানি কমে যাওয়ার মূল কারণ হিসেবে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

 

 

মূলত তোলাবাজদের দৌরাত্ম্যে এই অবস্থা। মাফিয়াদের টাকা দিলেই পেছনের গাড়ি চলে যাচ্ছে সামনে ফলে কোন কোন গাড়ি 8 থেকে 10 দিন থাকছে লাইনে। আবার টাকা দিলে একদিনে রপ্তানি হচ্ছে সামগ্রী। এর ফলে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে বন্দর এলাকায়। লরি চালকদের দাবি রাতের অন্ধকারে চলছে ছিনতাই। দাবি মতো টাকা না দিলে গাড়ির ব্যাটারি খুলে নিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা আতঙ্কে থাকতে হয় তাদের। বন্দর এলাকায় যানজট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রপ্তানিকারকদের দাবি দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ তারাও। মোটা অংকের বিনিময়ে লাইন ব্রেক করে পেছনের গাড়ি কে এগিয়ে দেওয়া হচ্ছে এর ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট আর যার জেরে কমছে রপ্তানি। এইভাবে চলতে থাকলে বছরে প্রায় 15 কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হবেন রপ্তানিকারকরা। এলাকায় মাফিয়া রাজের দৌরাত্ম্যের কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন শুল্ক দফতরের আধিকারিক। তিনি বলেন একদিকে যেমন পণ্য রপ্তানি কমেছে তেমনই কেবল এই এলাকা নয় সব জায়গায় মাফিয়ারা চলছে।