আন্তর্জাতিক নারী দিবসে জেনে নিন নারীদের আইনত কিছু অধিকা। মার্চ মাসের ৮ তারিখ বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস। লিঙ্গবৈষম্য দূর করে নারীর প্রতি সম্মান ও সমানাধিকার জানাতেই দিবসটি উদযাপিত হয়। এই নারী দিবসে আমরা জেনে নেব নারীদের আইনত কিছু অধিকার সম্পর্কে।
ভারতীয় বিবাহবিচ্ছেদ- যাঁরা বিবাহিত এবং যাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তাঁদের প্রত্যেকের এই আই সম্পর্কে জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। আইন অনুযায়ী জানা যায়, বৈবাহিক ধর্ষণও বিবাহবিচ্ছেদের কারণের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
গার্হস্থ্য হিংসার বিরুদ্ধের আইন- বহু মহিলাকেই গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হতে হয়। আই অনুযায়ী জানা যায়, কোনও নারী যদি গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হন, তাহলে তিনি আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে পারেন। মানসিক, শারীরিক, যৌনতামূলক এবং আর্থিক, এই সমস্ত দিক থেকেই গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হতে পারেন নারীরা।
দ্য মেডিকেল টার্মিনেশন অফ প্রেগনেন্সি অ্যাক্ট- যদি সন্তান কারও শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে বিরূপ প্রভাব ফেলে, তাহলে ত্রৈমাসিক গর্ভপাত আইন অনুযায়ী বৈধ। আইন বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে এই বিষয়ে আরও পরামর্শ নিতে পারেন প্রয়োজনে।
আর ও পড়ুন নতুন করে গজিয়ে ওঠা মদের ঠেক ভেঙে দিলো পুলিশ
সম পারিশ্রমিক আইন- পারিশ্রমিকের ভেদাভেদ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যায়। বহু জায়গায় দেখা যায় একই পরিশ্রম করার পরও পুরুষেরা যা পারিশ্রমিক পান তার থেকে কম পারিশ্রমিক পান মহিলারায কিন্তু আইনত পুরুষের সমান পারিশ্রমিক পাওয়ার অধিকার রয়েছে নারীদের।
কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি- কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের যৌন হয়রানির শিকার কোনও নতুন ঘটনা নয়। বহুক্ষেত্রে এমন অনেক খবর পাওয়া যায়। আইন অনুযায়ী জানা যায়, কর্মক্ষেত্রে নানারকমভাবে যৌন হয়রানির শিকার হতে পারেন মেয়েরা। যৌনতার প্রস্তাব দেওয়া, যৌন হয়রানিমূলক মন্তব্য করা, পর্নোগ্রাফি দেখানো, অযাচিত শরীরে স্পর্শ করা কিংবা স্পর্শ না করেও আকারে ইঙ্গিতে যৌন হয়রানি করাও এই আইনের মধ্যে পড়ে। এমন ঘটনার শিকার হলে সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষর কাছে জানানো এবং পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।