কলকাতা- গত ৮ ফেব্রুয়ারি নদিয়ার কল্যাণীতে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত চার জনের প্রাণ গিয়েছিল। নিয়ম উড়়িয়ে রমরমিয়ে নিষিদ্ধ শব্দবাজির কারবারের অভিযোগও সামনে এসেছে। প্রশাসনের তরফে কড়া হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্নটা উস্কে দিয়েছে বৃহস্পতিবার রাতে এয়ারপোর্ট-এক নম্বর গেটের ঘটনা।
গোপন সূত্রের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতা বিমানবন্দরের এক নম্বর গেট এলাকা থেকে একটি লরি বোঝাই নিষিদ্ধ শব্দবাজি আটক করেছে পুলিশ। লরি থেকে বাজেয়াপ্ত নিষিদ্ধ শব্দবাজির পরিমাণ প্রায় ৩০-৩৫ টন।
ঘটনায় লরির চালক জহিরুল হককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, নিষিদ্ধ বাজি বোঝাই লরিটি বারুইপুরের চম্পাহাটি থেকে আসছিল। বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে ধরে অসমের দিকে যাওয়ার কথা ছিল। আগাম খবরের ভিত্তিতে এয়ারপোর্ট এক নম্বর গেটের কাছে আগে থেকেই সাদা পোশাকে দাঁড়িয়েছিল পুলিশ। চম্পাহাটির কোন কারখানায় নিষিদ্ধ শব্দবাজি তৈরি হচ্ছিল, অসমে কার কাছে এই বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ বাজি পাঠানো হচ্ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ঘটনার জেরে ফের বেআইনি বাজি কারখানার খবর সামনে আসতে জনমানসে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রসঙ্গত গত মাসে শুধু নদিয়াতে নয়, গত কয়েক বছরে রাজ্যের একাধিক জায়গায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ২০২৩ সালে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ন’জনের মৃত্যু হয়েছিল।
