প্রধামন্ত্রীর কার্যালয় ত্যাগ করলেন ইমরান খান। অনাস্থা ভোটের ফল আসার আগেই প্রধামন্ত্রীর কার্যালয় ত্যাগ করেছিলেন ইমরান খান। পাকিস্তানের স্পিকার আসাদ কায়সার পদত্যাগ করার পরই ইমরান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ত্যাগ করেন। ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ফয়সাল জাভেদ খান এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার কিছু সময় আগেই প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ছেড়ে যান ইমরান খান।
আরও পড়ুন – ‘যেসব নেতারা অস্বস্তি ঘটাচ্ছে তাদের ছেঁটে ফেলার প্রক্রিয়া কি শুরু হল?’ তৃনমূলকে খোঁচা তথাগতের
তিনি অত্যন্ত সদয়ভাবে কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান। স্পিকার আসাদ কায়সারের পদত্যাগের পর তিনি ধরেই নিয়েছিলেন, অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটের ফলাফল তার পক্ষে নাও আসতে পারে। এদিকে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন ইমরান খান। ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পার্লামেন্টের ৩৪২ আইনপ্রণেতার মধ্যে ছিলো ১৭২ ভোটের প্রয়োজন ছিলো, সেখানে তার বিরুদ্ধে ভোট পড়েছে ১৭৪ টি। ভোট শেষে প্যানেল স্পিকার পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) নেতা আয়াজ সাদিক এই ফলাফল ঘোষণা করেন। আর্থিক দুরবস্থা ও ভুল পররাষ্ট্রনীতির অভিযোগে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে পাক বিরোধী দলগুলো।
এ অনাস্থা প্রস্তাবকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে সেটি খারিজ করে দেন জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হওয়ার পর ইমরান খানের আবেদনের প্রেক্ষিতে ওইদিনই জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেয়ার ঘোষণা দেন পাক প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এরপর বিরোধীরা আদালতের শরণাপন্ন হলে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট অনাস্থা ভোট খারিজ করার ওপর নোটিশ দেন। টানা পাঁচ দিনের শুনানি শেষে গত বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ ও জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেয়ার সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক ঘোষণা করে শনিবার (৯ এপ্রিল) অনাস্থা প্রস্তাব প্রক্রিয়ার সুরাহা করার আদেশ দেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।