বউ পেটাতে গিয়ে প্রতিবেশি মহিলার গায়ে হাত,এর জেরে পড়শিদের হাতে আক্রান্ত হয়ে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক বেক্তি । ছেলের ভুলের মাশুল গুনতে হয়েছে গোবিন্দের বাবা-মাকেও। ঘটনাটি ঘটেছে গাজোল থানার আদিনা গ্রামে।
আহত গোবিন্দ সিংহ পেশায় শ্রমিক। আদিনা গ্রামে বাবা-মায়ের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকে সে। বছর চারেক আগে তার বিয়েও হয়েছে। স্ত্রী কাকলি সাধারণ গৃহবধূ। বুধবার মাঝরাতে তার বাবা রামদয়াল সিং জানান, কাজ সেরে প্রতিদিনের মতোই বাড়ি ফিরেছিল তাঁর ছেলে। রাতে খাওয়ার সময় ঘটে বিপত্তি। খাবার নিয়ে কাকলির সঙ্গে ঝামেলা বাধে গোবিন্দর। কথা কাটাকাটি হতে হতে সে কাকলিকে দুই চড় কষিয়ে দেয়। মার খেয়ে কাকলি চিৎকার করতে করতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তার পিছন পিছন ছোটে গোবিন্দও। চিৎকার শুনে পাড়ার আরেক গৃহবধূ দীপালি সিংহ কাকলিকে মার খাওয়া থেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। তিনি গোবিন্দকে আটকানোর চেষ্টা করেন। তখনই কাকলিকে মারতে গিয়ে গোবিন্দ দীপালিকে মেরে বসে। দীপালি তাঁর বাড়ি গিয়ে সব কথা খুলে বলেন। এরপরেই তাঁর পরিবারের পুরুষ সদস্যরা তাঁদের বাড়িতে এসে গোবিন্দকে বেধড়ক মারধর করে। তাদের বাধা দিতে যান বাবা ও তাঁর স্ত্রী জ্যোৎস্না। আহতরা স্থানীয় গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাবা ও তাঁর স্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়া হলেও গোবিন্দকে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।