বহরমপুরের কাশীমবাজার এলাকায় একটি বাড়িতে ভাঙচুর চালাল এলাকার মহিলারা

বেশ কিছু দিন থেকে এলাকায় বেড়ে চলছিল বেআইনি ভাবে মদ বিক্রি আর তাতেই নেশায় আশোক্ত হয়ে বেড়ে চলছিল পারিবারিক অশান্তি। এরই প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে বহরমপুরের কাশীমবাজার এলাকায় একটি বাড়িতে ভাঙচুর চালাল এলাকার মহিলারা।

অভিযোগ বেশ কিছু দিন থেকে কাশীমবাজার দীঘির পার এলাকায় বে আইনি ভাবে মদ বিক্রি করতো স্থানীয় বেজেন মন্ডল, স্বপন দাস ও রঘুনাথ দাস নামের পরিবার। কাজের পর সেই মদের আশরে বসে পড়তো এলাকায় পুরুষেরা। এমনকি এলাকার জুব সমাজ এই মদের প্রতি আশক্ত হয়ে পড়ছিল। আর এই জেরেই এলাকায় প্রায় প্রতিটি ঘরে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা লেগেই থাকতো। দিনের শেষে কাজের টাকা বাড়িতে না দিয়ে সেই টাকায় মদের পিছনে উড়িয়ে দেয় পুরুষেরা। ঘটনার কথা বারবার প্রশাসনকে জানিয়েছেন এলাকার মহিলারা কিন্তু তাতেও কোন সমস্যার সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ। এলাকার পুরুষ সমাজ প্রায় বধ বংশের মুখে চলে যাচ্ছিল। মদ বিক্রির কথা ওই পরিবার গুলিতে জানানো হলে তারা অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতো বলে অভিযোগ। এরই প্রতিবাদে এদিন দুপুরে এক মদ বিক্রেতার বাড়িতে ভাঙচুর চালায় এলাকার মহিলারা। বেশ কিছু বেআইনি মদের বোতল ও ভাঙা হয়। যদিও ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিজুক্তরা। এদিন এলাকার মহিলা দল বেধে এই অভিযানে অংশ নেই।
এবিষয়ে বেআইনি মদ বিক্রেতা অর্চনা দাস জানান তার ছেলের অসুস্থতার কারনে তারা এই বে আইনি মদ বিক্রি করে। এই মদ বিক্রি বে আইনি জানা সত্তেও তারা এই কাজ করে, তবে এই মদ বিক্রির জন্য খাগড়া ফাড়ির পুলিশ মাসে মাসে টাকা নিয়ে যায়।