সদ্যোজাত শিশুর চিকিৎসা গাফিলতিতে মৃত্যু হয়েছে৷ এই অভিযোগ তুলে বহরমপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখালেন শিশুর পরিজনেরা। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর এলাকায়৷
পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি থানা এলাকার নরসিংহপুর গ্রামের বাসিন্দা মৌসুমী বিশ্বাস রবিবার প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে বহরমপুর মনমোহিনী হেল্থ কেয়ার হাসপাতালে ভরতি হন। স্বামী কিঙ্কর বিশ্বাস মৌসুমীকে ভরতি করে চলে আসেন। কিঙ্কর বিশ্বাসের অভিযোগ, তার দু’টি যমজ সন্তান হয়৷ রবিবার রাতে চিকিৎসক অমিতাভ দাসের অধীনেই সন্তান প্রসব করেন তার স্ত্রী৷ কিন্তু চিকিৎসক সহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রবিবার থেকে তার দুটি জমজ কন্যা সন্তানকে একবারের জন্য দেখতে দেয়নি৷
অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে শিশুর পরিবারকে একেক বার একেক রকম কথা বলা হয়৷ একটা সদ্যোজাত শিশুর অবস্থা খারাপ রয়েছে বলা হলেও পরিবারকে দেখানো হয় না। রবিবার থেকে মঙ্গলবার ৪৮ ঘন্টা কেটে গেলেও পরিবার দাবি করে সদ্যোজাত একটি শিশুরও মুখ তারা দেখতে পায়নি। দু’দিন ধরে এনআইসিইউ-তে ভরতি থাকলেও একটি শিশুকে দেখতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই পরিবারের সদস্যরা বুধবার সকাল থেকে দফায় দফায় ঝামেলা ও বিতর্ক করলে বুধবার সন্ধ্যায় জানানো হয় তাদের একটা সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যু হয়েছে৷ এবং সেই সঙ্গে আর একটি শিশুর অবস্থা সংকটজনক। শিশুদের পরিবারের সদস্যরা বলেন, ‘‘আমাদের শিশুকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মেরে ফেলেছে৷’’
চিকিৎসা গাফিলতিতে অথবা বাচ্চাকে বদল করেছে বলেও অভিযোগ করেন তারা। এই ঘটনার প্রতিবাদে শিশুর পরিবার বুধবার সন্ধ্যা পর থেকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন হাসপাতালে বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে পরিবারের পক্ষ থেকে বহরমপুর থানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ। তবে এই ঘটনায় মুখ খুলতে চাননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।