বাংলাদেশ- ১৬ ঘন্টা ধরে বাড়ির উঠোনে পড়ে আছে বাবার মৃতদেহ।এদিকে শেষকৃত্য সম্পন্ন না করে সম্পত্তি নিয়ে ভাগাভাগিতে ব্যস্ত গুণধর ছেয়েমেয়েরা।এমনই আজব দৃশ্য দেখা গেল বাংলাদেশের যশোরে।ছেলেমেয়েদের এমন অমানবিক কাণ্ড দেখে শেষ পর্যন্ত ছুটে আসেন এলাকার মেম্বার সহ প্রতিবেশীরা।অবশেষে তাদের হস্তক্ষেপে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় ৭২ বছর বয়সী বাড়ির মালিকের।
প্রতিবেশী সূত্রে খবর,বুধবার(২৬ মার্চ)ভোর ৬টার দিকে মৃত্যু হলেও এদিন রাত ১০টা পর্যন্ত বাড়ির উঠানে পড়ে ছিল বৃদ্ধ বাবার মৃতদেহ।সন্তানরা সম্পত্তি নিয়ে নিজেদের ঝামেলা করছিল। মৃত হাবিবুর রহমান বিশ্বাসের চার জন স্ত্রী ও ৯ সন্তান রয়েছে।তিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন।দীর্ঘদিন ধরে তিনি ছোট স্ত্রী ও তার ছোট ছেলে সোহেল বিশ্বাসের সঙ্গে কোটা গ্রামে থাকতেন।বাকিদের সঙ্গে তেমন ভাল সম্পর্ক ছিল না। ছোট ছেলে তার দেখাশোনা করতেন।বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন হয়েছিলেন হাবিবুর।ওই অবস্থায় ছোট স্ত্রীর নামে ৮৩ শতাংশ জমি স্বেচ্ছায় লিখে দিয়েছিল হাবিবুর।তা নিয়ে বাকি ৩ স্ত্রী ও ছেলেমেয়েরা ঝামেলা শুরু করে।এই নিয়ে বেশ কয়েকবার সভাও হয়েছিল গ্রামে। তবে কোন সমাধানে আসতে চাই নি কেউই।
এই নিয়ে মৃতের ছোট ছেলে সোহেল বিশ্বাস বলেন,’বাবার কবর পর্যন্ত খুঁড়তে দেয়নি তারা।আমার মায়ের নামে লিখে দেওয়া ৮৩ শতাংশ জমির মধ্য থেকে ৫০ শতাংশ সৎ ভাইয়েদের নামে লিখে দেওয়ার শর্তে মুচলেকা দেওয়ার পর কবর খুঁড়তে ও দাফন করতে দেয় তারা। মৃত্যুর ১৬ ঘণ্টা পর বাবার মৃতদেহ দাফন করতে হয়েছে। ঈশ্বর ওদের বিচার করবেন।’
