বালুচিস্তান -বালুচিস্তানে হাইজ্যাক ট্রেনটি থেকে ১০৪ জন যাত্রীকে নিরাপদে উদ্ধার করেছে পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী। গুলির লড়াইয়ে অন্তত ১৬ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার।মঙ্গলবার দক্ষিণ-পশ্চিম পাকিস্তানের একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন ছিনতাই করে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। বালুচিস্তানের কোয়েট্টা থেকে ট্রেনটি খাইবার পাখতুনখোয়ার পেশোয়ারে যাচ্ছিল ।
সেই সময় চলন্ত ট্রেন লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিদল। বালুচ লিবারেশন আর্মি নামের সংগঠন এই ট্রেন অপহরণের দায় স্বীকার করেছে। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ট্রেন থেকে অগুনতি যাত্রী ও নিরাপত্তা রক্ষী এখন তাদের হেফাজতে বন্দি রয়েছে।
এর পরে বিদ্রোহীদের সঙ্গে তীব্র বন্দুকযুদ্ধের পর ১০৪ জন যাত্রীকে উদ্ধার করে নিরাপত্তা বাহিনী। তবে ট্রেনে ঠিক কতজন যাত্রী এখনও আটকে আছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (BLA) নামের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, বালুচ রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি এবং নিখোঁজ ব্যক্তিদের ফেরত দেওয়ার দাবি মানতে হবে, অন্যথায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ট্রেন সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয় তারা।
জানা গিয়েছে, বালুচ লিবারেশন আর্মি অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে এই অপারেশন চালিয়েছে। মাশকাফ, ধাদর, বোলান এলাকায় একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটানো হয় রেললাইনে। সংগঠন বিবৃতিতে আরও বলে, এই বিস্ফোরণে রেললাইনে ফাটল ধরায় জাফফর এক্সপ্রেস থামতে বাধ্য হয়। ট্রেন মাঝপথে থেমে গেলে জঙ্গিদল ট্রেনের দখল নেয়। সংগঠনের দাবি, সব যাত্রী ও নিরাপত্তাকর্মীদের বন্দি করা হয়েছে।
জঙ্গিদের আরও দাবি, এই হামলায় ৩০ জন পাক সেনা কর্মী নিহত হয়েছেন। কয়েকশো যাত্রী তাদের হেফাজতে রয়েছেন। পাকিস্তান কোনও ধরনের সেনা অভিযান চালালে সব যাত্রীদের খতম করার হুমকিও দিয়েছে সংগঠনটি।
পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী তালাল চৌধুরী জানান, অভিযান শুরুর আগেই জঙ্গিরা বেশ কিছু যাত্রীকে মুক্তি দিয়েছিল। তবে সেই সংখ্যা তিনি জানাতে চাননি। পাকিস্তান সরকার দাবি করেছে, এই হামলার পিছনে দেশি-বিদেশি শক্তির মদত আছে। তবে কোনও দেশের নাম করা হয়নি।
