বিএনপির ছেড়ে দেওয়া সংসদের পাঁচটি আসনে ভোটগ্রহণ ১ ফেব্রুয়ারি। জাতীয় সংসদ থেকে বিএনপির পদত্যাগ করা পাঁচ সংসদ সদস্যের শূন্য আসনে ভোটগ্রহণ করতে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসির তফসিল অনুযায়ী আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এই পাঁচ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়ন দাখিলের শেষদিন ৫ জানুয়ারি, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৮ জানুয়ারি এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৫ জানুয়ারি। আজ রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে নির্বাচন কমিশন ভবনে কমিশনের সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় অন্যান্য চার নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে ইসি সচিব সংবাদ সম্মেলন করেন। যে পাঁচ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেগুলো হলো- একাদশ জাতীয় সংসদের ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ শূন্য আসনের নির্বাচন। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এই পাঁচ আসনে ভোটগ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।
আরও পড়ুন – মরক্কোকে হারিয়ে বিশ্বকাপের তৃতীয় ক্রোয়েশিয়া
তবে ভোটে সিসি ক্যামেরা থাকবে কি না, তা পরবর্তী সময়ে জানানো হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন বিএনপির ছয় এমপি। স্পিকার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার পর ওই ছয় আসন শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে জাতীয় সংসদ সচিবালয়। এর আগে, গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে আয়োজিত গণসমাবেশ থেকে বিএনপির সাত এমপি পদত্যাগপত্র ই-মেইলে স্পিকারের কাছে পাঠিয়েছেন বলে জানানো হয়।
তাঁরা হলেন- আমিনুল ইসলাম (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২), হারুনর রশীদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), জাহিদুর রহমান (ঠাকুরগাঁও-৩), মোশাররফ হোসেন (বগুড়া-৪), জি এম সিরাজ (বগুড়া-৭), আব্দুস সাত্তার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২) ও রুমিন ফারহানা (সংরক্ষিত নারী আসন)। এরপর গত ১১ ডিসেম্বর দুপুরে শূন্য ঘোষিত ওই ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটির সদস্য সশরীরে স্পিকারের কাছে ছয়জনের পদত্যাগপত্র জমা দেন। তবে একজন ই-মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বিধায় তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ হয়নি।