রাশিয়ার বিজ্ঞাপন-ভিত্তিক আয়ের পথ বন্ধ করল গুগল। এবার রাশিয়ার রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম ‘আরটি’সহ অন্যান্য চ্যানেলে বিজ্ঞাপন-ভিত্তিক আয়ের পথ বন্ধ করল গুগল। ওয়েবসাইট, অ্যাপ ও ইউটিউব ভিডিও থেকে এসব আয়ের সুযোগ বন্ধ করেছে অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে ফেসবুকের পক্ষ থেকে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। খবর রয়টার্সের। এর আগে গুগলের ইউটিউব বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রাশিয়ার বেশ কিছু ইউটিউব চ্যানেলসহ অন্যান্য চ্যানেলের মনিটাইজেশন বন্ধ করা হয়েছে।’ এরপর রাশিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমের ওয়েবসাইট ও অ্যাপে গুগলের বিজ্ঞাপন-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আয়ের সুযোগ বন্ধ করা হয়। গুগলের মুখপাত্র মাইকেল অ্যাসিম্যান বলেন, ‘রাশিয়ার মিডিয়া গুগল টুলের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন কিনতে এবং গুগল সার্চ ও জিমেইলের মতো গুগলের পরিষেবাগুলোতে বিজ্ঞাপন দিতে পারবে না।’
গুগলের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘আমরা বিষয়টি সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং প্রয়োজনে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ ইইউ গত বুধবার রাশিয়ার একাধিক ব্যক্তিসহ আরটি’র প্রধান সম্পাদক মার্গারিটা সিমোনিয়ানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
আর ও পড়ুন ভাটপাড়ায় ভোট লুটের চেষ্টায় অর্জুন সিং!
মার্গারিটা সিমোনিয়ানকে রুশ প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর প্রধান ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছে ইইউ। ইউক্রেনের ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন মন্ত্রী মাইখাইলো ফেডোরভ গতকাল শনিবার এক টুইট বার্তায় জানান, তিনি রাশিয়ার প্রোপাগান্ডা প্রচারকারী একাধিক চ্যানেল, যেমন—রাশিয়া টোয়েন্টিফোর, তাস ও আরআইএ নভোসতি ব্লক করার জন্য ইউটিউব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এদিকে, ইউটিউবের এমন পদক্ষেপের পর আরটি কর্তৃপক্ষ এবং এর প্রধান সম্পাদক মার্গারিটা সিমোনিয়ানের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ছাড়া আর কোন কোন চ্যানেলকে সীমাবদ্ধতার আওতায় নেওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে ইউটিউব বিস্তারিত জানায়নি। এর আগে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ মেটা জানায়, তাদের প্ল্যাটফর্মে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়াগুলোর বিজ্ঞাপন ও আয়ের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।