ভারতের ইতিহাসে তরাইনের প্রথম ও দ্বিতীয় যুদ্ধ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের ইতিহাসে তরাইনের প্রথম ও দ্বিতীয় যুদ্ধ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তৎকালীন সময় পাকিস্তান আফগানিস্তান সহ আরো বেশ কিছু এলাকা নিয়ে ছিল মোহাম্মদ ঘড়ির সাম্রাজ্য। তার নজরে ছিল ভারত। কারণ তৎকালীন সময় ভারত ছিল সম্পদের ভান্ডার। সেই সময় ভারতে ব্যবসা-বাণিজ্য সহ সব দিক থেকে উন্নত ছিল। ১১৯১ খ্রিস্টাব্দতে মোহাম্মদ ঘড়ির সঙ্গে পৃথ্বীরাজ চৌহানের যুদ্ধ হয়, যা ইতিহাসের পাতায় প্রথম তরাইনের যুদ্ধ বলে পরিচিত।
আসলে কোনভাবে পৃথ্বীরাজ চৌহানকে বাগে আনতে পারেননি মোহাম্মদ ঘড়ি। এরপর আক্রমণ করার পরিকল্পনা নেন , এই যুদ্ধে পৃথ্বীরাজ চৌহানের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন মোহাম্মদ ঘড়ি। পৃথ্বীরাজ চৌহানের সেনা সংখ্যা ছিল ৫০০০০, অপরদিকে মোহাম্মদ ঘড়ির সেনার সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার। এত কম সংখ্যক সেনা নিয়ে তিনি যুদ্ধে এঁটে উঠতে পারেননি। ইতিহাসে বর্ণিত রয়েছে কোনক্রমে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন – ‘মা’ ক্যান্টিনে পাঁচ টাকায় মাংস ভাত।
এর ঠিক এক বছর বাদে ১১৯২ সালে তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধ সংঘটিত হয়। সেই সময় ভারতের নিয়ম ছিল দিনের বেলা যুদ্ধ হবে রাতের বেলা যুদ্ধ বন্ধ থাকবে। কিন্তু মোহাম্মদ ঘড়ি সেই নিয়ম মানেননি, তিনি রাতে পৃথ্বীরাজ চৌহানের সেনাবাহিনীর উপর হামলা চালান। এবারে এক লক্ষ কুড়ি হাজার সেনা নিয়ে এসেছিলেন মোহাম্মদ ঘড়ি, তবে পৃথ্বীরাজ চৌহানের সেনা ছিল তিন লক্ষের উপরে। কিন্তু বিশেষ নীতি অবলম্বন করবার জন্য দ্বিতীয় তরাইনের যুদ্ধ জয় করতে পেরেছিলেন মোহাম্মদ ঘড়ি।
তার সেনারা এমন ভাবে আক্রমণ করতে থাকে পৃথ্বীরাজের সেনা ছত্র ভঙ্গ হয়ে পড়ে। তারপর মোহাম্মদ ঘড়ির তীরন্দাজ বাহিনী লাগাত ার তীর ছুঁড়ে ঘায়েল করতে থাকেন পৃথ্বীরাজ চৌহানের সেনাবাহিনীকে। এরপরই মস্ত বড় ভুল করে ফেলেছিলেন পৃথ্বীরাজ চৌহান। তিনি স্বয়ং নিজে যুদ্ধ করতে আসেন, এর কিছুক্ষণ পরেই মোহাম্মদ ঘুরির সেনাবাহিনীর কাছে বন্দী হন তিনি। পৃথ্বীরাজ চৌহানের সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙ্গে যায়, তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে হার হয় পৃথ্বীরাজ চৌহানের। ইতিহাসে বর্ণিত আছে পৃথ্বীরাজ চৌহানকে বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আফগানিস্তানে।