Deprecated: version_compare(): Passing null to parameter #2 ($version2) of type string is deprecated in /home/u517603494/domains/shinetv.in/public_html/wp-content/plugins/elementor/core/experiments/manager.php on line 170
ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, জাতিসংঘ

ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, জাতিসংঘ

ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, জাতিসংঘ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, জাতিসংঘ। বিশ্বজুড়ে খাদ্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এতে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য করা খাদ্যদ্রব্যের মূল্য পরিমাপকারী জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) খাদ্যমূল্য সূচক অনুযায়ী, গত মার্চ মাসে খাদ্যমূল্য রেকর্ডে পৌঁছানোর পর মে মাসে তা কিছুটা হ্রাস পায়। শুক্রবার জাতিসংঘ সূত্রের বরাত দিয়ে আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

 

পতন সত্ত্বেও এক বছর আগের তুলনায় সূচকে মে মাসে খাদ্যপণ্যের দাম ছিল ২২ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি দেখানো হয়েছে। ইউক্রেন বিশ্বের প্রধান রুটির ঝুড়িগুলোর মধ্যে একটি। তাই দেশটিতে রাশিয়ার আগ্রাসন খাদ্যসংকটকে আরও বাড়িয়ে দেয়ার ঝুঁকি তৈরি করেছে। খাদ্য সংকটের জন্য এফএও-এর প্রধান বিশেষজ্ঞ লুকা রুশো বলেন, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের ফলে জ্বালানির দাম বেড়েছে; বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ সহায়তা দেয়ারও খরচ বেড়েছে।

 

তিনি বলেন, একটি গুরুতর খাদ্য সংকটের ঝুঁকি বিশেষত উন্নয়নশীল বিশ্বে অনুভূত হয়। চলতি সপ্তাহে আল জাজিরা রুশোর সঙ্গে বর্তমান বিশ্বের খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করে। সেখানে বিশ্বব্যাপী খাদ্য মজুদের উদ্বৃত্ত থাকা সত্ত্বেও কীভাবে লাখ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হতে পারে এবং কেন ২০২৩ একটি ‘খুব, খুব বিপজ্জনক বছর’ হতে পারে সে সম্পর্কে তিনি কথা বলেছেন। বিশ্বে এখন খাদ্য সংকট দেখা দিচ্ছে কেনো- এমন প্রশ্নের জবাবে লুকা রুশো বলেন, প্রথমত, এটা নতুন কোনো সংকট নয়। গত ছয় বছরে মারাত্মক খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন মানুষের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। অত্যন্ত জটিল এ পরিস্থিতির মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ সর্বশেষ সংযোজন। জাতিসংঘ গত ২০ বছরে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা কমাতে অনেক অগ্রগতি দেখেছে।

 

কিন্তু গত কয়েক বছরে প্রায় ২০-৩০টি দেশে একটি বিপরীত প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে। রুশো বলেন, ‘ভঙ্গুর খাদ্য ব্যবস্থা, দুর্বল শাসন, সংঘাত এবং জলবায়ু পরিবর্তন। গত পাঁচ-ছয় বছরে, বেঁচে থাকার জন্য সাহায্যের প্রয়োজন মানুষের পরিপ্রেক্ষিতে সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। ইউক্রেনের মতো ঘটনা আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগের কারণ।’ ইউক্রেন সংকট কীভাবে খাদ্য সরবরাহের হুমকি দিচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের এটা স্পষ্ট করতে হবে যে, বর্তমানে বিশ্বে খাদ্যের কোনো ঘাটতি নেই। খাদ্য পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী সরবরাহের জন্য ৭৮ কোটি মেট্রিক টন গম উৎপাদন হয়ে থাকে; চলতি বছর এ ঘাটতি মাত্র ৩০ লাখ মেট্রিক টন। খাদ্যের অভাব নেই কিন্তু খাদ্য সংকট রয়েছে- এ বিষয়ে রুশো বলেন, খাবারের ঘাটতি নেই। কিন্তু দাম বাড়ছে। এর কারণ হলো জ্বালানির মূল্য বেড়ে যাওয়া।

 

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গত মাসে ১৯টি দেশ খাদ্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এসবই দাম বাড়াতে ভূমিকা রাখছে। কোন দেশে সবচেয়ে বেশি সাহায্য প্রয়োজন- এমন প্রশ্নের জবাবে রুশো বলেন, ‘ইউক্রেন সংকটের আগে আমরা আফগানিস্তান, ইয়েমেন, দক্ষিণ সুদান, উত্তর-পূর্ব নাইজেরিয়া ও সোমালিয়ায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছিলাম। খাদ্যমূল্যের পরিবর্তন (বৃদ্ধি) তাদের উপর বিধ্বংসী প্রভাব ফেলতে পারে।’ আপনি বলেছেন পর্যাপ্ত খাবার আছে। অভাবী মানুষের কাছে পেতে সমস্যা কি- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গম ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধির অর্থ হল- একই অর্থ দিয়ে আমরা (আগের চেয়ে) অনেক কম সহায়তা দিতে পারি।

 

এছাড়াও, কখনো কখনো আপনি এমন লোকেদের কাছে পৌঁছাতে পারবেন না, যারা সংঘর্ষের অঞ্চলে আটকে আছেন। খাদ্য সংকট যাতে আরও খারাপ না হয়, তার জন্য এখন কী করা যেতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে এ বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমরা ঝুঁকিতে থাকা লোকেদের যাতে বাদ না দিই- তা নিশ্চিত করতে মূল্য ও খাদ্য নিরাপত্তার নিবিড় পর্যবেক্ষণ করুন। আমাদের কৃষিতে আরও বিনিয়োগ করতে হবে। কিছু দেশে জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ পর্যন্ত এটির উপর নির্ভর করে। কিন্তু বর্তমানে মানবিক সহায়তার মাত্র ৮ শতাংশ গ্রামীণ জীবিকা নির্বাহে যায়। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ ২০২৩ সাল পর্যন্ত চলতে থাকলে, কী হতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে রুশো বলেন, ‘আমরা খুব গুরুতর ঘাটতি দেখতে পাচ্ছি।

আরও পড়ুন – আন্তর্জাতিক প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস

যুদ্ধ চলতে থাকলে ২০২৩ খুব, খুব বিপজ্জনক একটি বছর হতে পারে।’ কারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে রুশো বলেন, সেসব দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যারা ‘ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে আমদানির উপর নির্ভরশীল এবং যাদের প্রধান খাদ্য গম ও ভুট্টা। এক্ষেত্রে উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকা।’ আপনি কি মনে করেন বিশ্ব নেতারা যথেষ্ট কাজ করছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সব মনোযোগ ইউক্রেনের যুদ্ধের দিকে। আমি আশা করি, ধীরে ধীরে নেতারা বুঝতে পারবেন যে বিশ্বের অন্যান্য অংশে আরও সমস্যা রয়েছে, যা ইউক্রেন সংকট থেকে অদ্ভূত।’

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top