যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের জল এখন হাইকোর্টে!

যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের জল এখন হাইকোর্টে!

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

কলকাতা – দোলযাত্রাতেও উত্তপ্ত যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজ। বহিরাগতদের একাংশ ও ল কলেজের পড়ুয়াদের মধ্যে তুমুল বচসা বাঁধে। জোর করে বহিরাগতরা রঙ মাখিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন ছাত্রীরা। মহম্মদ সাব্বির আলির নেতৃত্বে কয়েকজন বহিরাগত এসে কলেজে জোর করে রঙ মাখায় বলে অভিযোগ।

বহিরাগতদের দাপাদাপি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন কলেজেরই এক ছাত্র। বুধবার যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী কলেজে শুধু রঙের ব্যবহার হয়নি, লঙ্কা গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি মামলাকারী ছাত্রের। সাব্বির আলি ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে মাফিয়ারাজ চালানোর অভিযোগ। পুলিশকে বারবার বলা সত্ত্বেও কিছু হয়নি। দাবি ডে কলেজ কর্তৃপক্ষের।



পুলিশকে প্রচুর চিঠি পাঠানো হয়েছে বলেও জানাল ডে কলেজ কর্তৃপক্ষ। পুলিশের চোখের সামনেই সবটা হয়েছে, অথচ তারা কিছুই করেননি বলে দাবি মামলাকারী ছাত্রেরও। প্রসঙ্গত, বুধবার সকালে কলেজের পরিচালন সমিতির বৈঠকে যোগ দিতে আসেন চেয়ারপার্সন ও তৃণমূল সাংসদ মালা রায়। কলেজে বহিরাগতদের আনাগোনার অভিযোগ তুলে তৃণমূল সাংসদের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদেরই একাংশ। মালা রায় বেরিয়ে যেতেই ফের রং, জল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ।



এদিকে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে সাব্বির আলির আইনজীবী বলেন, “আমি একটি স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের নেতা। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে এই মামলা করা হয়েছে। প্রিন্সিপালের প্ররোচনায় এসব করা হচ্ছে। এই প্রিন্সিপাল একটি রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র।” পাল্টা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, ছাত্ররা যেখানে অসুরক্ষিত বোধ করছে সেখানে আদালতকে তো এটা খতিয়ে দেখতে হবে।” থানায় অভিযোগ দায়ের হলে পুলিশকে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপের নির্দেশ আদালতের। ঘটনা নিয়ে হলফনামা আদানপ্রদানেরও নির্দেশ। দু’সপ্তাহ পরে ফের মামলার শুনানি।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top