ইউক্রেনের আরও একটি শহর দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। স্লেভোটিচ নামের ওই শহর চেরনোবিল পারমাণবিক প্রকল্পের পাশে এবং বেলারুশ সীমান্তে কাছাকাছি স্থানে অবস্থিত। স্লেভোটিচ ‘চেরনোবিল কর্মীদের শহর’ হিসেবেও পরিচিত। শনিবার কিয়েভ অঞ্চলের গভর্নর এ তথ্য জানিয়েছেন। সাইপ্রাস মেইল অনলাইন এ খবর জানায়। ইউক্রেনের অন্য শহরগুলোতেও ব্যাপক লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। বিশেষ করে মারিউপোল শহরের কেন্দ্রস্থলে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে তীব্র লড়াই চলছে রুশ সেনাদের।
শহরটির চারপাশ ঘিরে রেখেছে রুশ বাহিনী। সাইপ্রাসের গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, খুব শিগগিরই যে লড়াই থেমে যাচ্ছে- এমনটা বলা যাচ্ছে না। কিয়েভের গভর্নর ওলেকসান্দার প্যাভলিউক বলেন, রুশ বাহিনী স্লেভোটিচ শহরের দখল নিয়েছে। শহরটি বেলারুশ সীমান্তের কাছে, যেখানে চেরনোবিল প্রকল্পের কর্মীরা বসবাস করেন। তিনি বলেন, রুশ সেনারা শহরটির হাসপাতালগুলোর দখল নিয়েছে এবং শহরের মেয়রকে অপহরণ করেছে। তবে বার্তাসংস্থা রয়টার্স স্বাধীনভাবে এসব তথ্য যাচাই করতে পারেনি।
আরও পড়ুন- জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে গণ্ডার শুমারির প্রথম দিন নির্বিগ্নেই সম্পন্ন
এদিকে মারিউপোল শহরের মেয়র ভাদিম বৈচেনকো বলেন, চারপাশ ঘিরে রাখা মারিউপোলের পরিস্থিতি জটিল। এর কেন্দ্রে রুশ বাহিনীর সঙ্গে ইউক্রেনীয় বাহিনীর তীব্র লড়াই চলছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মারিউপোল দখলের জন্য তীব্র আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। বোমা, গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শহরটি। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। দেশটির রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী।
যুদ্ধে দুই পক্ষেরই ব্যাপক প্রাণহানির খবর পাওয়া যাচ্ছে। জাতিসংঘ বলছে, যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছেন ৩৫ লাখেরও বেশি মানুষ। সূত্র জানায়, রাশিয়ার সীমান্তবর্তী ইউক্রেনের শহরগুলো ঘিরে রেখেছে রুশ সামরিক বাহিনী; হামলা চলছে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভেও। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পাশে অবস্থান করছে রুশ বাহিনীর ৪০ মাইল দীর্ঘ একটি বহর। তারা যে কোনো সময় শহরটিতে হামলা চালাতে পারে। রাশিয়ার গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় খারকিভ, মারিওপল শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির খবর পাওয়া যাচ্ছে।