এবার ইউক্রেনের লিমান শহরও রাশিয়ার দখলে। রাশিয়াপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ইউক্রেনের পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের লিমান শহর পুরোপুরি দখলে নিয়েছে। ইউক্রেন সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এ বিষয় স্বীকার করেছেন। তবে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, সেখানে এখনো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তাদের সেনারা। খবর বিবিসি ও আল–জাজিরার ইউক্রেনে হামলা শুরুর সময় রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, দেশটিকে ‘নাৎসি প্রভাব’ মুক্ত করা ও ‘নিরস্ত্র’ করাই তাদের উদ্দেশ্য। পরে অভিযানে পরিবর্তন আনে মস্কো।
বলা হয়, যুদ্ধে তাদের নতুন লক্ষ্য পূর্ব ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া। এর পর থেকে এ অঞ্চলে হামলা জোরদার করা হয়। লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক অঞ্চল নিয়ে গঠিত দনবাস। রাশিয়ার হামলা শুরুর আগে থেকেই অবশ্য এ দুই অঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকা রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দখলে ছিল। এখন রাশিয়া বাকি এলাকাগুলোও নিয়ন্ত্রণে নিতে চাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় লিমান শহর দখলে নিল রাশিয়া। এ নিয়ে স্বঘোষিত দোনেৎস্ক প্রজাতন্ত্রের সামরিক বাহিনী বার্তা আদান–প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে জানিয়েছে, লিমানের ২২০টি বসতি এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে। তবে এ দাবি স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি বিবিসি।
আরও পড়ুন – ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন অ্যাক্ট বদল করে সরকারি ব্যাঙ্কে বেসরকারিকরণের পদ্ধতি শুরু করেছে কেন্দ্র সরকার
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ওলেকসি আরেস্তোভিচ বলেছেন, জানতে পেরেছি, আমরা লিমান শহরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছি।’ রাশিয়ার হামলা বেশ পরিকল্পিত ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, রাশিয়ার সেনাবাহিনীর অভিযানসংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা ও কৌশলগত দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউক্রেনের স্লোভিয়ানস্ক শহরে যাওয়ার পথে লিমান শহরের অবস্থান। স্লোভিয়ানস্কের দখল নেওয়া দনবাস অঞ্চলে রাশিয়ার মূল লক্ষ্যগুলোর একটি। এ ছাড়া রেল যোগাযোগের জন্য লিমান শহরটি গুরুত্বর্পূণ। বেশ আগে থেকেই এর দখল নেওয়ার চেষ্টা করছিল রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।
উল্লেখ্য, এবার ইউক্রেনের লিমান শহরও রাশিয়ার দখলে। রাশিয়াপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ইউক্রেনের পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের লিমান শহর পুরোপুরি দখলে নিয়েছে। ইউক্রেন সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এ বিষয় স্বীকার করেছেন। তবে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, সেখানে এখনো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তাদের সেনারা। খবর বিবিসি ও আল–জাজিরার ইউক্রেনে হামলা শুরুর সময় রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, দেশটিকে ‘নাৎসি প্রভাব’ মুক্ত করা ও ‘নিরস্ত্র’ করাই তাদের উদ্দেশ্য। পরে অভিযানে পরিবর্তন আনে মস্কো।