শালবনী যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী জিন্দালদের পাওয়ার প্ল্যান্টের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে

শালবনী যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী জিন্দালদের পাওয়ার প্ল্যান্টের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

পশ্চিম মেদিনীপুর – জিন্দাল গোষ্ঠীর পাওয়ার প্ল্যান্টের শিলান্যাস করতে মেদিনীপুরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সফর ঘিরে জেলাজুড়ে সাজো সাজো রব। জানা গিয়েছে, ২১ এপ্রিল শালবনীতে পা রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী। ২২ এপ্রিল গোয়ালতোড়ে একটি সোলার পাওয়ার প্ল্যান্টের উদ্বোধন করবেন।শালবনীতে পাওয়ার প্ল্যান্টের শিলান্যাসেরকথায় আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন এলাকার মানুষ। প্রশাসনের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, ২১ এপ্রিল শালবনীতে পাওয়ার প্ল্যান্টের শিলান্যাসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানে জিন্দাল গোষ্ঠীর কর্তারাও থাকবেন। রাতে মেদিনীপুরের সার্কিট হাউসে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। ২২ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেই অনুষ্ঠান থেকে গোয়ালতোড়ের একটি সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট ছাড়াও আরও একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে। দফায় দফায় বৈঠক সারছেন বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা। একইসঙ্গে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।



বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে চাহিদার কথা মাথায় রেখে শালবনীতে ৮০০ মেগা ওয়াট করে দু’টি পাওয়ার প্ল্যান্ট হচ্ছে। এই প্রকল্পের জন্য জিন্দালরা খরচ করছেন ১৬ হাজার কোটিরও বেশি টাকা। এছাড়াও ওই গোষ্ঠী অনেকগুলো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কও করবে। এই প্রকল্পে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে।জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আসছেন। সমস্ত দিক থেকে আমরা প্রস্তুত। শালবনীর অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন।শালবনীর বাসিন্দারা বহু বছর ধরেই শিল্পের স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু তাঁদের স্বপ্ন অপূরিতই থেকে গিয়েছিল। বেকার যুবক যুবতীরা নিরাশ হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু পাওয়ার প্ল্যান্টের শিলান্যাসের খবর সামনে আসতেই তাঁরা ফের আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন। বাম আমলে জিন্দালদের বৃহত্তম ইস্পাত কারখানা তৈরির পরিকল্পনা হয়েছিল। স্থানীয় যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থান হবে বলে আশাবাদী ছিলেন একাধিক গ্রামের মানুষ। সেই সময় কারখানা তৈরির আশায় স্থানীয় কুলফেনী, গাইঘাট সহ প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষ জমিদান করেছিলেন। সেই সময় জিন্দালরা সরকারি, রায়তি ও পাট্টা জমি মিলিয়ে প্রায় ৪ হাজার ৩০০ একর জমি অধিগ্রহণ করে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top