সীমান্ত এলাকায় ছয় ফুট উচ্চতার কোন ফসল চাষ করা যাবে না

নিজস্ব সংবাদদাতা,মালদা , ৭ই ডিসেম্বর :ছয় ফুট উচ্চতার কোন ফসল চাষ করা যাবে না সীমান্ত এলাকায়। সীমান্ত কাঁটাতার থেকে পাঁচশো মিটার দূরে চাষ করতে হবে। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর এমন ফরমানের ফলে বিপাকে পড়েছেন কালিয়াচকের সীমান্ত এলাকার কৃষকেরা।

 

গত দুই বছর ধরে সীমান্ত এলাকাতে গমে ভাই চাষ বন্ধের ফরমান জারি করা হয় বাংলাদেশে গমে ভাইরাস রোগ দেখা দেওয়ায়। তাই কৃষকেরা বিকল্প চাষ হিসাবে পাট ও ভুট্টা চাষ শুরু করেন। কিন্তু এবছর সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্তারা সীমান্ত কাঁটাতারের পাঁচশো মিটারের মধ্যে ছয় ফুট উচ্চতার কোন ফসলের চাষ করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে ছয় ফুট উচ্চতার ফসল সীমান্তে লাগানো হলে সীমান্ত নজরদারিতে সমস্যা তৈরী হচ্ছ। আর যার ফলে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। এমন অবস্থায় সীমান্ত কৃষকের পড়েছেন বিপাকে। চাষবাস প্রায় বন্ধ সীমান্ত এলাকায়। বিঘার পর বিঘা জমি পতিত পড়ে রয়েছে। বিকল্প চাষ হিসাবে কৃষকদের সরষে,মসুর অথবা তিন ফুটের নীচের ফসল লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাতে আপত্তি রয়েছে কৃষকদের। তাদের বক্তব্য এই সব মসুর,সরষে চাষ করলে লাব নেই। এই ফসলের দাম নেই বাজারে। ফলে মুনাফার চেয়ে লোকসান বেশী। তাই চাষ বন্ধ। এমধ পরিস্থিতিতে এলাকার কৃষকেরা কাজের সন্ধানে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন। আর যাদের অন্য কোন কাজের অভিজ্ঞতা নেই তারা ভুট্টা ,পাট চাষের অনুমতির জন্য জেলাশাসক থেকে কৃষি দপ্তরের কর্তাদের দারস্থ হচ্ছেন। নতুবা অর্থাভাবে অনাহারের ফলে আত্মহত্যার হুমকী দিচ্ছেন কৃষকেরা।
জেলার কৃষি দপ্তরের মুখ্য আধিকারিক অমিতাভ চৌধুরী জানান পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। কিন্তু দেশের স্বার্থে এমন নির্দেশকে কার্যকর করতেই হবে। কৃষকদের বোঝানো হচ্ছে। বিনা পয়সায় সীমান্ত কৃষকদের বিকল্প তিন ফুটে নীচের ফসলের বীজ দেওয়া হচ্ছে। কৃষকের সমস্যা নিয়ে সীমান্ত রক্ষী কর্তাদের সাথেও আলোচনা হচ্ছে।সমাধানের পথ খোঁজা হচ্ছে।